অজগরের পেটে নারীর লাশ
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
রাত গভীর হয়ে গেলেও স্ত্রী ফরিদা বাড়িতে না ফেরায় বেশ চিন্তিত হন তার স্বামী। বাড়ির আশপাশে খোঁজ শুরু করেন তিনি। একটা পর্যায়ে তিনি ফরিদার সঙ্গে থাকা কিছু জিনিসপত্র এক জায়গায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসব দেখে সন্দেহ হওয়ায় পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজ শুরু করেন। ঘটনার একদিন পর ফরিদার মৃতদেহ পাওয়া যায় বিশাল আকৃতির এক অজগরের পেটে। ভয়ংকর এ ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের কালেম্পাং গ্রামে। এএফপি।
শনিবার কালেম্পাং গ্রামের প্রধান সুয়ার্দি রোজি এএফপিকে বলেন, বৃহস্পতিবার ফরিদার স্বামী তাকে না পাওয়ার বিষয়টি জানালে প্রতিবেশীরা ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন। পরদিন শুক্রবার তল্লাশির একটু পরই তারা একটি অজগর দেখতে পান।
অজগরটির পেট অস্বাভাবিক বড় দেখাচ্ছিল। ফলে, তারা সাপটির পেট কাটার সিদ্ধান্ত নেন। পেট কাটতেই ফরিদার মাথা বেরিয়ে পড়ে। পরে অজগরের পেট থেকে বেরিয়ে আসে ফরিদার মরদেহ। অজগরটি ফরিদাকে জামাকাপড়সহ আস্ত গিলে ফেলেছিল।
অজগর কোনো মানুষকে সম্পূর্ণ গিলে ফেলার ঘটনা বেশ বিরল। তবে গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ায় অজগরের হাতে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। সাধারণত, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। গত বছর ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের তিনাঙ্গিয়া জেলায় একটি অজগর গ্রামের এক কৃষককে পেঁচিয়ে ধরে গিলতে শুরু করে। তখন স্থানীয়রা আট মিটার লম্বা অজগরটিকে মেরে ফেলে। তবে সেই কৃষকও মারা যান।
এর আগে ২০১৮ সালে ৫৪ বছর বয়সি এক নারীকে সাত মিটার লম্বা এক অজগরের পেটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা শহরে এ ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়াও আগের বছর পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে এক কৃষক নিখোঁজ হন। পরে দেখা যায়, পাম বাগানে একটি অজগর তাকে জীবিত অবস্থায় খাচ্ছে। ওই অজগরটির দৈর্ঘ্য ছিল চার মিটার।