করোনাকে জয় করেছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে জয় করেছেন মৌলভীবাজারের তিন চিকিৎসক।
গত ৫ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল্লাহ আল মারুফ রাসেল, গাইনি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মির্জা ফারজানা হলি এবং শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিশ্বজিৎ দেব। তারা সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে চিকিৎসা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হবার পর তারা চলে চান আইসোলেশনে।
১৮ মে তাদের করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর মধ্যে পরপর দুইটি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে ডা. মারুফের। ডা. হলি এবং ডা. বিশ্বজিৎ শেষ রিপোর্টটির জন্য অপেক্ষা করছেন। যদিও তাদের একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যে নেগেটিভ এসেছে।
করোনা মুক্ত হওয়ার এই তথ্য তারা সবাই আলাদা আলাদাভাবে নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আবদুল্লাহ আল মারুফ রাসেল বলেন, আমার দুইটি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আমার কঠিন সময়ে সময়ে যারা বিভিন্নভাবে আমাকে সাহস দিয়েছেন, খবর নিয়েছেন সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে মৌলভীবাজার বিএমএর সভাপতি ডা. শাব্বির হোসেন খান এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাজান কবির চৌধুরী যেভাবে আমার এবং আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
ডা. বিশ্বজিৎ দেব বলেন, আমার থেকে সংক্রমিত হয়ে আমার স্ত্রী এবং মাও আক্রান্ত হন। সব মিলিয়ে খুব কঠিন সময় পার করেছি। মা বয়ষ্ক থাকায় খুব চিন্তিত ছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত আমার সাথে তাদের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। গত কয়দিন মৌলভীবাজারের সর্বস্তরের মানুষ আমার খবর নিয়েছেন, সাহস দিয়েছেন। বিষয়টি প্রমাণ করে মৌলভীবাজার মানুষ সামাজিকভাবে খুবই সংঘবদ্ধ। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ প্রথম মৌলভীবাজারে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় জেলার রাজনগর উপজেলায়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত জেলার মোট আক্রান্ত ৮৯ জন। তার মধ্যে ৩২ জন স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের মধ্যে চিকিৎসক ৯ জন, নার্স ১০ জন এবং বাকী ১৩ জন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, ক্লিনারসহ বিভিন্ন পদের কর্মচারী।