চারখাইয়ে জেলা পরিষদের জমি নিয়ে ইজাদারদের সংবাদ সম্মেলন
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই বাজার সংলগ্ন এলাকায় জেলা পরিষদের পতিত জমির ইজারা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ, ইজারাদার ও জেলা পরিষদের মধ্যে জটিলতা তৈরী হয়েছে। এ নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে গত কয়েকটি থেকে বিয়ানীবাজার থেকে সিলেট জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এরকম সময়ে বুধবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে ইজারাদার ছালেহ আহমদ অপর তিন সহযোগী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নজমুল হোসেন চৌধুরী।
ইজারাদারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে চারখাইবাসীসহ উপজেলাবাসীকে আশ্বস্থ করা হয় চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যে অবস্থিত জেলা পরিষদের জায়গা ইজারা তারা নেননি। জকিগঞ্জ সড়ক সংলগ্ন জেলা পরিষদের পতিত জায়গা তারা দেশের প্রচলিত আইন মেনে আবেদন করেন এবং জেলা পরিষদ তাদের আবেদন গ্রহণ করলে পরবর্তী সময়ে ইজারার সকল নিয়ম মেনে সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করে জায়গাটি ইজারা নেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে ইজারাদারদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা তাদের অক্ষমতা ঢাকতে চারখাইবাসীকে বিভ্রান্ত করতে নানামুখী অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এসব অপপ্রচারে চারখাইবাসী বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ইজারাদার মো. ছালেহ আহমদ, আবুল হাসান চৌধুরী, নজমুল ইসলাম চৌধুরী ও আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ছালেহ আহমদ বলেন, আমরা যতটুকু শোনেছি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সামীনার ভেতরে থাকা জেলা পরিষদের জায়গা (১৩ শতক) ইজারা নেয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বশীলদের খামখেয়ালিপনা ও অক্ষমতার কারণে তারা ইজারা বা স্থায়ীভাবে জায়গাটি স্কুলের পক্ষে নিয়ে আসতে পারেননি। তিনি বলেন, যারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের উচিত চারখাইয়ের যোগ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে জায়গাটি জেলা পরিষদের কাছ থেকে স্কুলের জন্য স্থায়ী বন্দোবস্ত নেয়া।
এদিকে চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখের জায়গা ইজাদার দেয়ার প্রতিবাদে এবং চারখাই বিদ্যালয়ের আবেদন গ্রাহ্য না করায় সম্প্রতি চারখাই বাজারে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক এবং এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।