জকিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশী সিমেন্ট যাচ্ছে ভারতে, বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত
জকিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
জকিগঞ্জ হয়ে নৌপথে ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে বাংলাদেশি সিমেন্ট। এতে নৌপথে আসামের সঙ্গে সিলেট ও রাজধানী ঢাকার রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত সোমবার সিলেটের জকিগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশন প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর পর এই প্রথম এ স্টেশন হয়ে ভারতে পৌঁছেছে সিমেন্টের একটি চালান। এর মধ্য দিয়ে ভারতের করিমগঞ্জে বাংলাদেশের সিমেন্ট রপ্তানি ও পাথর আমদানির শুভ সূচনা হয়েছে।
জকিগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের প্রিমিয়ার সিমেন্ট কারখানা থেকে এমডি প্রিমিয়ার-৬ নামক সিমেন্টবোঝাই একটি জাহাজ গত রোববার জকিগঞ্জে এসে পৌছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরদিন সোমবার তা জকিগঞ্জের ওপারে আসামের করিমগঞ্জ জাহাজঘাটে নোঙর করে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গত ২৮ অক্টোবর থেকে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের জন্য প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানিকে সিমেন্ট রপ্তানির জন্য প্রাথমিক অনুমতি দিয়েছে। আসামের করিমগঞ্জের কর এন্ড সন্স নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির প্রথম চালান আমদানি করে। চালানে আড়াই হাজার ব্যাগ সিমেন্ট ছিলো।
সিমেন্ট আমদানির মুহূর্তটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্বোধনের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুনীল কুমার সিং, আইডব্লিএ’র সদস্য (ট্রাফিক) শষি ভুষণ শুক্লা, আইডব্লিউএ’র পরিচালক (গৌহাটি) সুরেন্দ্র সিংসেহ কাস্টমসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তা উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে জকিগঞ্জ সীমান্তের ওপারে করিমগঞ্জ কাস্টমস ও জাহাজ ঘাটকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়।
বাংলাদেশের আভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর এই চালানটি নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করে মেঘনা নদী হয়ে আশুগঞ্জ পৌঁছায়। পরবর্তীতে কুশিয়ারা নদী দিয়ে জকিগঞ্জ কাস্টমস হয়ে করিমগঞ্জে নোঙর করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নৌপথে আসামের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে অল্প খরচে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য সুবিধা বিস্তৃত হবে। এতে দুই দেশই উপকৃত হবে।