জুড়ীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর আত্মসমর্পণ
জুড়ীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর আত্মসমর্পণ করলেন
জুড়ীতে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নাদিম ওরফে নাজিম (২৫) নামে এক আসামী স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
তিনি জুড়ী উপজেলার জাঙ্গিরাই গ্রামের কামাল হোসেন-এর পুত্র। মঙ্গলবার রাত ৮টায় তিনি থানায় গিয়ে হাজির হন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়া থানা এলাকায় এক কেজি গাঁজাসহ পুলিশ নাদিমকে আটক করে। প্রায় এক মাস হাজতবাস করে তিনি জামিন পান। এ মামলায় কুমিল্লা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালত এর বিচারক বিপ্লব দেবনাথ ১৪.০১.১৮ইং তারিখে প্রদত্ত রায়ে নাদিমকে (অন্য একজনের সাথে) ১৯৯০ সালের মাদক আইনের ১৯(১) এর ৭(ক) ধারায় ১ বছর ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। কিন্তু নাদিম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লায় আপিল করেন। এরই মধ্যে ইস্যূকৃত পরওয়ানা বলে গত ২৩.১০.১৮ইং তারিখে তিনি আটক হয়ে কারারুদ্ধ হন এবং আপিল মামলায় ০৯.০১.১৯ইং তারিখে জামিন পান। ফৌজদারী আপিল নং- ৯২/২০১৮
(জিআর-৬৫/১৪(ব্রাহ্মনপাড়া)মামলার রায় থেকে উদ্বৃত) মামলায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুহেল রানা ২৩.০১.২০ইং তারিখে প্রদত্ত রায়ে নাদিমের সাজা কমিয়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
রায়ে কারাদন্ডের মেয়াদ গণনায় পূর্ববর্তী কারাবাসের দিনগুলি যুক্ত হবে এবং নথি প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলে হয়।
জুড়ী থানায় নাদিম বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন- ঘটনার দিন আমি রিকসা করে এক জায়গায় যাচ্ছিলাম। আমার আগের এক যাত্রী এ রিকসায় একটা ব্যাগ রেখে যান, সেটা আমি খেয়াল করিনি। ওই সময় পুলিশ এসে ব্যাগসহ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। আমি ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। অনেক দিন জেল কেটেছি। জুড়ী থেকে প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার দুর কুমিল্লা গিয়ে অনেক হাজিরা দিয়েছি। এক সময় উকিল বলল আমি খালাশ পেয়েছি। আমি আর যাইনি। অদ্য জুড়ী থানা থেকে আমার বাড়িতে গ্রেফতারী পরওয়ানা পাঠানো হলে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বেচ্ছায় থানায় এসে হাজির হই।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, নাদিমের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। এভাবে সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে সমাজ অনেক পরিবর্তন হয়ে যেত।
সূত্রঃঃ সিলেটভিউ২৪ডটকম/এমএএল/এসডি-৩