দফায় দফায় সংঘর্ষে কুলাউড়া রণক্ষেত্র : গাড়ি ভাংচুর, আহত ৩০
কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা সদরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকদের মধ্যে আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, আহত হন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন। এ সময় অর্ধশতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে কুলাউড়া শহরের চৌমুহনীতে বুধবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। কর্মসূচি পালন শেষে পৌর শহরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এ সময় ইজিবাইকের চালকরাও রাস্তায় নেমে এলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আকাশ আহমদ দাবি করেন, সংঘর্ষ চলাকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকরা ৩০-৩৫টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর করেন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকদের কার্যালয় ভাংচুর করা হয়।
তিনি আরও জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়া বলেন, ১৫-১৬টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর করেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকরা। আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে রবিরবাজার থেকে একটি মিছিল কুলাউড়া শহরে প্রবেশকালে স্কুল চৌমুহনী এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকরা মিছিলে হামলা চালায়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে লুৎফুর রহমান (৫০), মরম আলী (৪০), নওশাদ (২৮), বদরুল (৩০), জব্বর (৩২) ফখরুল (২১) ও ফয়ছল (৩০) সহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে লুৎফুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। আগামী রবিবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান করা হবে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।