নতুন করে সিলেট নগরীর ১৯ ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বিবেচনায় সিলেটের বিভিন্ন এলাকাকে রোড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা ও লকডাউন নিয়ে সমন্বয়হীনতা ও বিভ্রান্তির মধ্যে এবার সিলেটের ১৯টি ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এছাড়া সিলেটের বেশকয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সিলেট নগরীর ওয়ার্ড ও উপজেলার ইউনিয়নগুলোকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিণজোনে ভাগ করে বৃহস্পতিবার সিলেটের জেলা প্রশাসককে কাছে একটি চিঠি প্রেরণ করেছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল। চিঠিতে জোন ভাগ করা এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো চিঠিতে দেখা যায়, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডকে রেড জােন, ২টি ওয়ার্ডকে ইয়োলো জোন ও ৮টি ওয়ার্ডকে গ্রিণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ তালিকা অনুযায়ী, সিলেট সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৯, ১২ থেকে ১৪, ১৬ থেকে ১৭, ১৯ থেকে ২২
ও ২৭ নং ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ১০ ও ১৮ নং ওয়ার্ড ইয়োলো জোন এবং ১১, ১৫, ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড গ্রীণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া সিলেটের সব উপজেলার সকল ইউনিয়নকেও এভাবে তিনটি জোনো ভাগ করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন সিভিল সার্জন। তবে উপজেলাগুলোর জোনিংয়ের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এনআগে গত ১৪ জুন নগরীর ১৯ টি ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে এসব এলাকা লকডাউন করার একটি প্রস্তাবনা সিলেট সিটি করপোরেশন থেকে সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, আমরা নগরী ও উপজেলাগুলোর সকল এলাকা তিনটি জোনে ভাগ করে একটি তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছি। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা জেলা প্রশাসক গ্রহণ করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে রেডজোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করার কথা। তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকই সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাল্টি সেক্টরিয়াল কমিটির সভাপতি এম. কাজী এমদাদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগােযাগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।