বন্দুক জমা দিলেন সেই ইউপি চেয়ারম্যান
বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার সময় ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ধন মিয়া প্রতিপক্ষের উপর প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে গুলি বর্ষণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হবার পর সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তার এই গুলিবর্ষণের ফলে আহত হয় ৩০ থেকে ৪০ জন। পরবর্তীতে অনাকাঙ্খিত কোনো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেই জন্য প্রশাসনের চাপের মুখে বাধ্য হয়ে ঘটনার পরের দিন বন্দুকটি বানিয়াচং থানা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান ধন মিয়া।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ধন মিয়া তার স্ত্রীর মাধ্যমে বন্দুকটি থানায় জমা দেন। গত ৫ মে উপজেলা সদরের সৈদ্যরটুলা মহল্লায় ইউপি চেয়ারম্যান ধন মিয়া ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান ইকবাল বাহার খানের লোকদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ আহত হয় শতাধিক। এদিকে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ২৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও শতাধিক টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ওসিসহ পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে উভয়পক্ষের ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪ থেকে ৫শ জনের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান ধন মিয়া, ইকবাল বাহার খান ও নজরুল ইসলাম খানের নাম রয়েছে। মামলা দায়ের করেন এসআই সন্তোষ চৌধুরী। এদিকে মামলা দায়ের করার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে উভয়পক্ষের লোকেরাই গা ঢাকা দিয়েছেন। বর্তমানে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে সৈদ্যরটুলাসহ আশেপাশের কয়েকটি মহল্লা।