বিয়ানীবাজারের মাটি, ছাত্রলীগের ঘাঁটি ও নেতাকর্মীর মধুর সম্পর্ক
মোঃ জাকির হোসেনঃ
বিয়ানীবাজার উপজেলার সাবেক ছাত্র লীগের কান্ডারী আউওয়াল, ফারুকুল, আব্বাস ও শুকুরের তুলনা হয় না। বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগে তাদের অবদান কোন অংশে কম নয়।
রাজনৈতিক অভ্যন্তরীন কোন্দল হানাহানি মারামারি যাই হোক না কেন তাদের মধ্যে হীনমন্যতার অবকাশ ছিলনা। একে অপরের প্রতি রাজনৈতিক মধুর সম্পর্কের প্রতিফলন ছিল চোখে পড়ার মত।
বিয়ানীবাজারের ছাত্র রাজনীতির ত্যাগী কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইতিমধ্যেই কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা ও দলের কর্মী থেকে জনগনের হৃদয়ে স্হান করে নিয়েছেন।
তাদের স্নেহ ভালবাসা পেয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে সে সময়ে অনেকেরই মনে অনুপ্রেরণা যুগাতো মুজিব আদর্শের সৈনিক হওয়ার। তাইতো সে সময় বিয়ানীবাজার কলেজের ছাত্রলীগের শ্লোগান ছিল। বিয়ানীবাজারের মাটি, ছাত্রলীগের ঘাঁটি।
১৯৯৫ সালে বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের ছাত্র সংসদের সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ছাত্র লীগের কান্ডারী বর্তমানে বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর। তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদের একান্ত কাছের লোক বলে অনেকে সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ করছেন থাকেন। তবে তার কাজের দক্ষতা ও কর্মগুনের কারনে বর্তমানে তিনি অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে থাকাকালীন সময়ে ও নেতা কর্মীদের সাথে সম্মানের সহিত রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার ফল হিসাবে বর্তমানে এ পদে অধিষ্ঠ।
এদিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের এক সময়ের কান্ডারী দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার।তাছাড়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদের খুব ঘনিষ্ঠজন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার পরিচিতি রয়েছে।বিয়ানীবাজার উপজেলাবাসীর কাছে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বিয়ানীবাজার কলেজ ছাত্র রাজনীতিতে তিনি ক্লিন ইমেজ প্রকৃতির রাজনৈতিক বক্তা ছিলেন।জনগুরুত্বপুর্ন কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান থাকার দরুন সম্মাননা পুরোষ্কারে ভুষিত হয়েছেন। উপজেলাব্যাপী প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ফারুকুল হক বিয়ানীবাজর সরকারী কলেজের সাহসী মুজিব সৈনিক। সদা হাস্যউজ্জ্বল গুনের অধিকারী। বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের নতুন ইতিহাস সৃষ্টিকারি। ছাত্র সংসদ ১৯৯৪ সালের ছাত্রলীগের জি.এস ছিলেন।
১৯৯৫ সালের ২৫ জুন বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে গুরুতর আহত হন। জামাত শিবিরের নেতা কর্মীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন তারা মৃত ভেবে ফেলে যায়। রক্তাক্ত হয় বিয়ানীবাজারের রাজপথ। সেই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ফারুকুল হকের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাকে দেখতে সিলেটের নিরাময় হাসপাতালে ছুটে আসেন।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর সি.এম.এইচ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রায় দুই মাস উন্নত চিকিৎসার পর মৃত্যুঞ্জয়ী এই ছাত্রনেতা সুস্থ হলেও এখনও মাঝে মধ্যে সেই যন্ত্রনায় ভুগেন। সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন এই সংগ্রামী নেতা।
সম্ভবত ৯০ দশকের দিকে বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের মেধাবী ও সু বক্তা হিসাবে ছাত্র লীগের রাজনীতিতে আগমন ঘটে মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিনের। তারপর থেকে তিনি ছাত্রলীগের মিছিল মিটিংয়ের মধ্যমনি হয়ে উঠেন। জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা নেতৃত্বদানকারী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন বর্তমানে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এবং সহকারী প্রক্টর মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি এবং একজন এডভোকেট। তিনিও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদের খুব কাছের লোক বলে ব্যাপক পরিচিত। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংঘটনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিলেট শহরে অবস্থান করছেন। এলাকার দলীয় নেতাকর্মীর সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তার জোরালো কন্ঠস্বরের বক্তব্যে গোটা কলেজ চত্বর থমকে যেত।
বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের আরো অনেক সাবেক নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক কান্ডারী রয়েছেন। তাদের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী অনেক কিছু ভাবতে পারেন। উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাথে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আমার পদচারনা। একদম কাছ থেকে দেখেছি।
লেখকঃ সাবেক পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।