বিয়ানীবাজারের শেওলায় অটোরিক্সা চালককে হত্যার অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের ঢেউনগরে পারিবারিক বিরোধে সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। শুক্রবার দুপুরেও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর করের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পুলিশ কারণ উদঘাটনের তদন্ত করছে। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যরা এটি হত্যাকান্ড বলে দাবী করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম কয়েছ আহমদ (৫০)। তিনি শেওলা ইউনিয়নের ঢেউনগর এলাকার মুছব্বীর আলীর পুত্র। তার উপর আপন ভাই ও ভাতিজারা পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলা করেছে বলে নিহতের ছেলে ও স্বজনরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, দীর্ঘদিন থেকে তিনভাইয়ের মধ্যে পারবারিক বিরোধ রয়েছে। এসব বিরোধে তাদের বিবাহিত বোনেরাও অপর ভাইদের পক্ষ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হন। বৃহস্পতিবার জসিম উদ্দীন নামের এক ভাইয়ের সাথে অপর ভাইয়ের ঘরের চাল খোলা নিয়ে বিরোধ ঘটে। এক পর্যায়ে স্থানীয় মুরব্বিদের হস্তক্ষেপে এ বিরোধ মিমাংসা হয়। রাতে নিহত কয়েছ আহমদ বাড়ি ফিরলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বড় ভাই ও ভাতিজারা কয়েছের উপর হামলা করলে তিনি নিজ ঘরে আশ্রয় নেন। এ সময় তাকে মারতে যাওয়া ভাই ভাতিজারা ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এর এক পর্যায়ে ঘরের ভেতর কয়েছ আহমদ জ্ঞান হারালে স্ত্রী সন্তানরা তাকে অচেতন অবস্থায় বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজমুল ইসলাম টুনু জানান, নিহত কয়েছের অপর ভাইয়েরা অত্যন্ত খারাপ এবং বদমেজাজি। তারা বোনদের সহায়তায় প্রায়ই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। নিহতের ছেলে সাইদুল ইসলাম (১৮) বলেন, আমার দুই চাচা, চাচাতো ভাইরা, ফুফুগণ এবং ফুফাতো ভাই মিলে আমার বাবাকে পিটিয়ে মেরেছে। ঘটনার সময় আমি শোর চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠে আমার বাবাকে মাটিয়ে শুইয়ে মারধর করা হচ্ছে বলে দেখতে পাই। তারা আমার ঘরের দরজা এবং বেড়ায় দা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এ সময় আমি ও আমার ভাই নাবিদুল ইসলাম কে মারধর করে হামলাকারীরা। তারা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানান তিনি।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করি। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ ছিল। তাদের দুই পরিবারের উত্তেজনার মধ্যে নিজ ঘরের ভিতর তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট পাঠিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে।