বিয়ানীবাজারে জমে উঠেছে ঈদের শপিং, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
বিয়ানীবাজার উপজেলায় মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর শপিং মল ও বিপনীবিতান খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা ও দোকান খোলার শর্ত থাকলেও বিয়ানীবাজারে তোয়াক্কা করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার প্রতিটি বাজারে দোকানপাটে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে লঙ্ঘিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনার সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনার সময়ে দোকানগুলোতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে।
ক্রেতারা বলছেন, তারা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। কিন্ত বাজারে অস্বাভাবিক ভিড় থাকায় তা মানা যাচ্ছেনা।
অন্যদিকে অধিকাংশ বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের পাশাপাশি মাস্ক পরিধান না করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে সরেজমিনে বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কাপড়, কসমেটিকস ও জুতার দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতাদের অনেকে একে অপরের মধ্যে ঠেলাধাক্কা করে কেনাকাটা করছেন।
এছাড়া বেশিরভাগ দোকানেই বিক্রেতাদের মাস্ক ও গ্লাভস নেই। কেউ মাস্ক পরলেও তা নাক ও মুখের বাইরে থুতনিতেই ঝুলিয়ে রাখছেন। গণমাধ্যমকর্মী দেখলে অনেকে সেটি সঠিকভাবে পরিধানের চেষ্টা করেন।
তাশফিয়া রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে মানুষের ভিড় আর গরমে কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। সবাই মাস্ক কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন না। এমন হলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। করোনা সংক্রমন থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত।
বিয়ানীবাজার জামান প্লাজার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে এমনিতেই গত বছর থেকে লোকসান গুনে আসছেন। এজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্টাচার্য বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছেন। ক্রেতাদেরও উৎসাহিত করেন তা মানার জন্য। তবে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে সচেতন হতে হবে।