বিয়ানীবাজারে নতুন আরও ৬২ জনের নমুনা সংগ্রহ; অপেক্ষমান তালিকায় ১৭৬ জন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে একদিনে রেকর্ড ৬২ জন সন্দেহভাজনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। একদিনে এটাই বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সর্বোচ্চ নমুনা সংগ্রহের রেকর্ড। বিয়ানীবাজারে ইতিমধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। অপেক্ষমাণের তালিকা যত দীর্ঘ হচ্ছে ততই বাড়ছে উৎকন্ঠা। কখন পরিস্থিতি কেমন হয় এ আশংকার মধ্য দিয়েই দিন পার করছেন বিয়ানীবাজারের মানুষ।
শনিবার (৬ জুন) বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, নতুন সংগ্রহকৃত সন্দেভাজনদের মধ্যে ১৭ জন পৌরসভার নয়াগ্রামের আক্রান্ত গোলাম নূরানীর সংস্পর্শে আসা, ৬ জন একই গ্রামের সজিব মিয়ার সংস্পর্শে আসা, ১৭ জন খাসার মাহমুদের সংস্পর্শে আসা, ৩ জন ডাচবাংলা ব্যাংকের আফজলের সংস্পর্শে আসা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ৯ জন রয়েছেন। এছাড়াও করোনার প্রাথমিক উপসর্গ আছে এমন আরও ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সন্দেহভাজনদের এই তালিকায় ৪১ জন পুরুষ ও ২১ জন মহিলা রয়েছেন। তাদের বয়স আড়াই বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে সর্বমোট ৩৮৮ জনের নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২১২ জনের পাওয়া ফলাফলে ১৯ জন আক্রান্তের ৫ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলাফল অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে ১৭৬ জনের নমুনা। বিয়ানীবাজার উপজেলায় ২৬৫ জন হোম কোয়ারান্টাইনের পাশাপাশি হাসপাতাল কোয়ারান্টাইনে ৩ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জন মারা গেছেন।
এদের সবাই পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
নমুনা সংগ্রহ করা সবাইকে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলাকে করোনামুক্ত রাখতে পুলিশ, সাংবাদিক, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষের সম্মিলিত সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্যাম্পল সংগ্রহে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু ইসহাক আজাদের নেতৃত্বাধীন টিমে ছিলেন, এমওডিসি ডাঃ জীবনানন্দ দেব রায়, এমটিইপিআই তপনজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, ল্যাব টেকনিশিয়ান সুজন আহির, ল্যাব সহকারী মূসা, ওয়ার্ড বয় আকিব আলী ও এ্যাম্বুল্যান্স চালক আনোয়ার হোসেন।