বিয়ানীবাজারে বাবুর্চিদের নামে ত্রাণ সহায়তা নিচ্ছে অন্যরা!
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
করোনাকালে বিয়ে-শাদিসহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্টান বন্ধ থাকায় বেকার সময় কাটাচ্ছেন বাবুর্চিরা। কাজ না থাকায় তাদের চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে তাদের। বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার প্রায় ৩ শতাধিক বাবুর্চিদের এই করুণ দশা।
সূত্র জানায়, অন্যের ঘরে চুলা জ্বালিয়ে রসনাবিলাসী খাবার তৈরী করা বিয়ানীবাজারের বাবুর্চিদের নিজের ঘরের চুলা এখন আর জ্বলছেনা। বাহারি স্বাদের খাবার রান্নার বদলে তাদেরকে ডাল-ভাতের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে অন্যের সহায়তার।
সাধারণ বাবুর্চিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রায় ৩ শতাধিক বাবুর্চি এখন বেকার। বিয়ে-শাদি, পান-চিনি, শিরনীসহ সামাজিক অনুষ্টান বন্ধ থাকায় তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যে বাবুর্চিদের নামে আসা ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যাচ্ছে অন্যরা। বিয়ানীবাজার উপজেলা বাবুর্চি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজ উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা-প্রতিষ্টান তাদের ত্রাণসহায়তা দিলেও তা পাচ্ছেননা তারা। তিনি অভিযোগ করেন, নিশিতা ফুড কোম্পানী সম্প্রতি তাদের সংগঠনের সদস্যদের নামে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা, ১টি লুঙ্গি ও মসলা জাতীয় দ্রব্য বিতরণ করলেও তা তারা পাননি। বাবুর্চিদের নাম করে মাসুক আহমদ ও আব্দুল বাছিত নামীয় ব্যক্তিরা ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আত্মসাত করেছেন।
একই সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশিক মিয়া অভিযোগ করেন, মাসুক আহমদ ও আব্দুল বাছিত পরস্পর যোগসাজেশে অন্যান্য প্রতিষ্টান থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সহায়তাও আত্মসাত করেছেন। অপর বাবুর্চি কাশেম, রবিউল, নজরুল, খায়রুল, ইব্রাহিম, লালন, আমিন, আরাফাত অভিযোগ করেন, মার্কস দুধের কোম্পানী থেকে প্রাপ্ত ত্রাণসামগ্রী এই দু;জনের নেতৃত্বে আত্মসাত করা হয়েছে। গরীবের হক এভাবে মেরে খাওয়ার জন্য তারা আল্লাহর কাছে বিচারের দাবী করেন।
অপর বাবুর্চি মারফত, হাবিব, জজ মিয়া, বাচ্চু মিয়া, মুর্শিদ কামাল ও চান্দু বাবুর্চি জানান, ত্রাণ সহায়তা আত্মসাতের খবর পেয়ে তারা এই দু’জনের সাথে যোগাযোগ করলে উল্ঠো তাদের কাছে জনপ্রতি ৮শ’ টাকা করে দাবী করা হয়। তারা এসব বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ (ওসি), সমাজসেবা কর্মকর্তরে দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।
ত্রাণ সহায়তা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুক আহমদ এসব বিষয় অস্বীকার করে বলেন, সকল বিষয় আব্দুল বাছিতের জানা আছে। আর আব্দুল বাছিত মাসুক আহমদের কাছে এসব তথ্য রয়েছে জানিয়ে ফোন কেটে দেন।