বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যানের রীটঃ অবৈধ বালি-পাথর উত্তোলনে জড়িতদের চিহ্নিত করার নির্দেশ
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজারসংলগ্ন সুরমা ও কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের চিহ্নিত করতে ও অবৈধভাবে উত্তোলিত বালি-পাথরসহ আটক করা ট্রলার ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিষয়টি তদন্ত করতে কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন আদালত। পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক, সিলেটের পুলিশ সুপারসহ তিনজনের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বালি উত্তোলন বন্ধের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন।
জনস্বার্থে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লবের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রাফসান আল আলভী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
অ্যাডভোকেট রাফসান আল আলভী বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই প্রভাবশালীরা সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে ভারি ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালি তুলছে। বিষয়টি গত ৯ জুলাই উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হলে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এসিল্যান্ডকে। ওই দুই কর্মকর্তা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন।
এর পর ১৪ জুলাই এলাকাবাসী অবৈধভাবে উত্তোলিত বালি ও পাথরসহ ১২টা ট্রলার আটক করে। পরে সেগুলো বিয়ানীবাজার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর আটক ট্রলার ও ব্যক্তিদের ছেড়ে দেন। ওই ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে রিট আবেদন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।