বিয়ের পর নতুন সংসার গোছাতে নব দম্পতিদের ৫ লাখ টাকা দেবে সরকার
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
বিয়ে হচ্ছে মানুষের জীবনের অপরিহার্য একটি কাজ এবং প্রতিটি ধর্মেই এই বিয়ের কথা বেশ ভালোভাবেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সে কারণে মানুষ জীবনে চলার পথে কাউকে না কাউকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় এবং সংসার জীবনে গিয়ে তাদের সন্তান সন্ততি লালন পালন এবং এভাবেই বাকি জীবন কেটে যায় মানুষের তবে জাপানে বিয়ের প্রতি অনীহা চলে এসেছে
মানুষের এবং সেখানে জন্মহার কমে গেছে তুলনামূলকভাবে অনেক যার ফলে জনসংখ্যা নিয়ে সেখানে বেশ ভালই একটা অভাব সৃষ্টি হয়েছে
এতে বলা হয়েছে, ’newlywed support program’ প্রকল্পের আওতায় আগামী এপ্রিল থেকে নব বিবাহিত দম্পতিদের আর্থিক সহায়তা বাবদ জাপানি মুদ্রায় ৬ লাখ ইয়েন বা বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাপানে যেহেতু জন্মহার কমে গেছে এবং মানুষজন দেরিতে বিয়ে করছেন বা অবিবাহিত থাকছেন এ কারণে তাদেরকে বিয়েতে উৎসাহিত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্তও রাখা হয়েছে। যেমন- আর্থিক সাহায্য পেতে হলে নবদম্পতি দু’জনেরই বয়স ৪০ বছরের কম হতে হবে। শুধু তাই নয়, দু’জনের মিলিত আয় হতে হবে ৫.৪ মিলিয়ন ইয়েন বা প্রায় ৪৩ লাখ টাকার ওপরে । এছাড়া নবদম্পতির দু’জনেরই বয়স ৩৫ বছর হলে এবং মিলিত আয় ৪.৮ মিলিয়ন বা ৩৮ লাখ টাকা হলে তাদের আর্থিক সহায়তা পাবেন ৩ লাখ ইয়েন।
২০১৫ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, জাপানে অবিবাহিত পুরুষদের ২৯ দশমিক ১ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৩৪ বছর। এছাড়া ওই বয়সের মধ্যে অবিবাহিত মেয়েদের সংখ্যা ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আর বিয়ে না করায় দেশে কমে গিয়েছে জন্মহারও। যা সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। গত বছর দেশটিতে৮ লাখ ৬৫ হাজার শিশুর জন্ম হয়, যা এখন পর্যন্ত বছরে সন্তান জন্মদানের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন।
এবার জাপানি বিয়ে করলেই নবদম্পতিরা পাচ্ছে মোটা অংকের টাকা মূলত জাপানে দিন দিন জন্মহার কমে যাচ্ছে এবং এটি মোটেও ভালো কোন দিক নয় সে ক্ষেত্রে সরকার জন্মহার বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সাথে আরেকটি প্রবণতা তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেটি হচ্ছে দেরিতে বিয়ে করা এবং অনেকের মাঝে দেখা যায় বিয়ে করতে অনেক তাদের মধ্যে কর্মব্যস্ত এদেশের মানুষের এ ধরনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে সরকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।