লকডাউনেও শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যেতে মন চায়?
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
‘আপনি জানেন না লকডাউন চলছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ? এমন লকডাউনেও শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যেতে মন চায়?’ পুরান ঢাকার বাবু বাজার ব্রিজের সামনে চেকপোস্টে কর্তব্যরত কোতোয়ালী জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার শারমিনা আলম এক ব্যক্তিকে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাচ্ছেন শুনে এমন প্রশ্ন করেন।
জরুরি এ লকডাউন পরিস্থিতিতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার চেষ্টার অপরাধে তাকে আটক করা হয়।
শারমিনা আলম বলেন, ‘লকডাউনের চতুর্থ দিনেও আমরা চেষ্টা করছি জনগণ যেন সতর্ক থাকে। যারা অকারণে বাইরে বের হয়েছেন তাদের প্রথমে বোঝানো ও পরবর্তীতে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, জনগণ এখনও সচেতন হয়নি। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পুলিশসহ সরকারের সর্বমহল থেকে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু জনগনের মধ্যে সচেতনতার হার খুবই কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এলে ডিএমপি অ্যাক্টে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অকারণে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন, তাদের ঘরে ফেরানোই মূল কাজ।’
করোনার সংক্রমণ রোধে ঢাকার বাইরে থেকে অপ্রয়োজনীয় যানবাহনের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই বাবুবাজার ব্রিজের পূর্বদিকে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি ও মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের অপরাধ ও ট্রাফিক বিভাগসসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। তবুও থেমে নেই ঢাকার বাইরে থেকে মানুষের ঢল। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কখনও মোটরাসাইকেল, কখনও ভ্যান, কোথাও রিকশায় দুই-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে আবার কেউ হেঁটে মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকায় আসছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ সময় বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলে করে এবং পায়ে হেঁটে অনেকেই শহরে প্রবেশ করছিলেন।
বাবু বাজার ব্রিজ থেকে পায়ে হেঁটে নামছিলেন কয়েকজন নারী-পুরুষ। তাদের একজন আবুল হোসেন। গোপালগঞ্জ থেকে মাওয়া ঘাটে এসে বাকি পথ কয়েকবারে ৩০০ টাকা খরচ করে এসেছেন। গণপরিবহন চালু থাকলে মাত্র ৮০ টাকায় আসতে পারতেন বলে জানান।
গার্মেন্টস কর্মী মুরতাজা হাসান জানান, মাদারীপুর থেকে দ্বিগুণ ভাড়া খরচ করে ফিরেছেন। লকডাউনেও তার গার্মেন্টস খোলা জানালেও নাম ও এলাকা বলতে রাজি হননি।