শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বড় শাস্তির মুখে আর্জেন্টিনা

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে বেশ কয়েকবার তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এই ম্যাচে জয়ী আর্জেন্টাইনদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তদন্ত করছে ফিফা।

আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে অভিযুক্ত করে শৃঙ্খলাবিধিতে ‘ম্যাচের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার’ কথা উল্লেখ করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

লুসাইল স্টেডিয়ামে গত শুক্রবারের ওই ম্যাচে শেষ দিকে দুটি গোল শোধ করে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেয় ডাচরা। এ সময় আর্জেন্টিনার বেঞ্চের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা মাঠে ঢুকে পড়েন। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ের পর মাঠে আরও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় দুই দলের মাঝে।

ম্যাচ চলাকালে কিংবা শেষে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি-সহ বিশ্বকাপের ম্যাচে রেকর্ড ১৭ খেলোয়াড় অথবা কোচিং স্টাফের সদস্য হলুদ কার্ড দেখেন (আর্জেন্টিনার ৮ জন খেলোয়াড় আর নেদারল্যান্ডসের ৬ জন খেলোয়াড় দেখেন হলুদ কার্ড)।

একটি ম্যাচে কোনো দল পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখলে সাধারণত আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছে ফিফা। তাদের ডাচ ডিফেন্ডার ডেনজেল ডামফ্রিস শেষ দিকে লাল কার্ডও দেখেন।

দুই ফেডারেশনকেই ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হতে পারে। চলতি আসরে এর আগে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে সৌদি আরবকে দুবার শাস্তি দেয় ফিফার ডিসিপ্লিনারি প্যানেল।

আলাদা অভিযোগে আর্জেন্টিনার জরিমানার অঙ্ক বেশিও হতে পারে। তদন্তের রায় কবে হবে, তা জানায়নি ফিফা। সাধারণত অভিযুক্ত দলের পরের ম্যাচের আগে সেটা জানানো হয় না।

সেমি-ফাইনালে আগামী মঙ্গলবার লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

হলুদ কার্ডের কারণে সেমিফাইনালে সেভিয়ার দুই ডিফেন্ডার মার্কোস আকুনিয়া ও গনসালো মনতিয়েলকে পাবে না দুবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *