সিলেটে লোডশেডিংয়ের বড় কারণ ব্যাটারিচালিত যান
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক
সিলেটে মিলছে চাহিদার প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ। সরবরাহ কম থাকায় সিডিউল লোডশেডিং করেও কুলকিনারা করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। জাতীয় গ্রিড লাইন থেকে পাওয়া বিদ্যুতের বড় অংশ চলে যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত যানবাহন চার্জে।
প্রতিদিন সিলেট মহানগরীতে চলাচলকারী প্রায় ১২ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চার্জে ব্যবহার হচ্ছে ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর সমপরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে আবাসিকখাতে। ব্যাটারিচালিত পরিবহন মালিকদের সংগঠন ও বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে আলাপ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সিলেট নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত যানবাহন নিষিদ্ধ ছিল। গেল দু’দফা বন্যার সময় থেকে কিছু কিছু ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রধান সড়কগুলোতে চলাচল শুরু করে। তবে প্রধান ও ব্যস্ততম সড়কগুলোতে ইজিবাইক চলতে দিচ্ছে না সিটি করপোরেশন ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। মূলত মহানগরীর পাড়া-মহল্লার ভেতরের সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়ায় ব্যাটারিচালিত পরিবহনগুলো।
নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে চলাচলের অনুমতি, সিটি করপোরেশন কর্তৃক লাইসেন্স প্রদান ও ট্রাফিক পুলিশের ধরপাকড় বন্ধের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটারিচালিত পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। তাদের মিছিল থেকে নগরভবনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
ব্যাটারিচালিত পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে ‘রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের হিসেবমতে- সিলেট মহানগরীতে প্রায় ১২ হাজার ব্যাটারিচালিত যানবাহন রয়েছে।
পরিষদের মহানগর শাখার সভাপতি প্রণব জ্যোতি পাল সিলেটভিউ-কে জানান, বাধার কারণে প্রধান সড়কে চলাচল করতে পারে না এসব যানবাহন। পাড়া-মহল্লার ভেতরের রাস্তায় যাত্রী পরিবহন করে ব্যাটারিচালিত পরিবহনগুলো।
তিনি আরও জানান, একটি ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জ দিতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ইউনিট এবং ইজিবাইকে ৬ থেকে ৭ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে থাকে। সেই হিসেব মতে, ১২ হাজার ব্যাটারিচালিত যান চার্জ দিতে প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা বর্তমানে সিলেট জেলায় মোট সরবরাহকৃত বিদ্যুতের প্রায় অর্ধেক।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, সিলেট জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৬০ মেগাওয়াট। গত মঙ্গলবার সরবরাহ ছিল ৯৪ মেগাওয়াট। আবদুল কাদির জানান, ব্যাটারিচালিত যানবাহনগুলো সাধারণত রাতে চার্জ দেয়া হয়ে থাকে। রাতে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের বড় একটি অংশ চলে যায় এসব যানবাহন চার্জে।
সুত্র: সিলেট ভিউ