স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পদ্মার পারে বিনোদন পিয়াসীদের উপচেপড়া ভিড়
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
রাজশাহী মহানগরের মানুষ টানা দুই মাস পর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে পদ্মার পারে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে তারা মাস্কের কথাও ভুলে যাচ্ছে। গত শুক্রবার বিকেলে পদ্মার ধারে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। ভিড়ের মধ্যে দু–একজন ছাড়া কারও মুখে মাস্ক ছিল না।
রাজশাহী মহানগর এলাকায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন গত ১১ জুন থেকে লকডাউন ঘোষণা করে। তিন দফা লকডাউন শেষে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউন এবং শেষে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় পড়ে রাজশাহী নগরের মানুষ। ১১ আগস্ট পর্যন্ত তারা বিনোদনকেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পায়নি।
তবে অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা এবং শিশুপার্ক এখনো খোলা হয়নি। তাই বিনোদনপিয়াসী মানুষ ভিড় করছে পদ্মার পারে।
ছুটির দিনের বিকেলে পদ্মার পারে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। এই ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানা হচ্ছে না। শুক্রবার বিকেলে নগরের পাঠানপাড়া এলাকায় লালন শাহ পার্কে গিয়ে দেখা যায়, পার্কেই নিচেই পদ্মার পানি থইথই। মানুষের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে দু-একজন ছাড়া কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। এই পার্কে রেলওয়ের একজন কর্মচারী সস্ত্রীক ঘুরতে এসেছিলেন। তাঁরা পার্কে সেলফি তুলছিলেন। এ সময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান নদীর পাড় পরিদর্শনে যান। মেয়রকে দেখে এই কর্মচারী সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরেন।
এই পার্ক থেকে পশ্চিম দিকে বাঁধের ওপর দিয়ে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পদ্মার পানি বাড়ার কারণে নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় টি–গ্রোয়েনে দর্শনার্থী চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বাঁধের ওপরেই মানুষের ভিড় বাড়ছে। দূর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে, বাঁধের ওপর মানুষের ঢল। এই ভিড়ের সামনে শুধু একজন নারীর মুখে একটি রঙিন মাস্ক দেখা গেল, তা–ও নাকের নিচে নামানো। তা ছাড়া কারও মুখেই মাস্ক দেখা গেল না।
খালি মুখে সবাই এই ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছেন। শ্রীরামপুর পুলিশ লাইনসের পাশে বাঁধের নিচে রেখে দেওয়া ব্লকের ওপর দেখা গেল একদল তরুণ। তাঁদের মধ্যে একজনের মুখে শুধু মাস্ক দেখা গেল। সবাই খালি মুখেই উল্লাস করছেন। ওই ঘাট থেকে দর্শনার্থীরা একে একে নৌকা নিয়ে ভরা পদ্মায় ভ্রমণে বের হচ্ছেন। নৌকায় যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। নদীর ঘাটে বসে সারি সারি মানুষ পদ্মা নদীর দৃশ্য উপভোগ করছেন। কিন্তু কারও মুখে মাস্ক নেই।