হেলেনা জাহাঙ্গীর সিলেটে আসেন বহুবার: জকিগঞ্জ-গোলাপগঞ্জে দেন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর এখন দেশজুড়ে আলোচনায়। এখন পর্যন্ত তার নামে তিনটি মামলা করা হয়েছে। হেলেনাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
এদিকে, দেশজুড়ে আলোচনায় থাকা হেলেনা জাহাঙ্গীর গ্রেফতারের সিলেট এসে ঘুরে গেছেন কয়েকবার। তার গড়া ‘জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন’ সিলেট বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এসব অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে আর্থিক অনুদানের অনেক প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও পরবর্তীতে সেসব রক্ষা করেননি হেলেনা।
জানা গেছে, হেলেনা জাহাঙ্গীর সিলেটে প্রথম আসেন ২০১৮ সালে। সে বছরের ১২ জানুয়ারি সিলেট ডিভিশনাল জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কমিটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেলেনা। এ উপলক্ষ্যে ওই দিন সিলেট নগরীর উপশহর সি ব্লক সংলগ্ন পশ্চিম তেররতন এলাকায় জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে প্রায় ২’শ গরিব-অসহায় মানুষের মধ্যে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্যে ঔষুধ বিতরণ এবং দরিদ্র বালকদের খৎনা সম্পন্ন করা হয়।
একই বছরের ১৮ আগস্ট জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ দারুল ক্বেরাত দাখিল মাদ্রাসায় গরিব রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলাধীন ১নং বারহাল ইউনিয়নের বাটশাইল-বালিটেকা ফুরকানিয়া হাফিজিয়া ও আলিয়া মাদ্রাসার মসজিদ এবং মহিলা শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজের ভিওিপ্রস্তর স্থাপন এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, সিলেট বিভাগের মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক আছে, জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন সিলেটকে সাথে নিয়ে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
তিনি ওইদিন আরও বলেন, আমি আগামী রমজানে আপনাদের মাদ্রাসায় ১লক্ষ টাকা দেব। আর মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য মাসিকভাবে সহযোগিতার ব্যাপারে আমি আগামী মিটিংয়ে আলোচনা করব।
কিন্তু তাঁর সেদিনের প্রতিশ্রুতি তিনি কখনোই পুরণ করেননি।
এ বিষয়ে কথা হয় বাটশাইল-বালিটেকা ফুরকানিয়া হাফিজিয়া ও আলিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য তোফায়েল আহমদের সঙ্গে। শনিবার (৩১ জুলাই) তিনি জানান, ‘সেদিন হেলেনা জাহাঙ্গীরের এমন কথা শুনে আমরা অনেক আশান্বিত হয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো অনুদান তিনি আমাদের দেননি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করারই কোনো সুযোগ হয়নি আমাদের।’