অধিকাংশ মানুষের করোনা টিকার প্রয়োজন হবে না : অক্সফোর্ড গবেষক
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
করোনা নামক এক অদৃশ্য ভাইরাসের দাপটে বিপর্যস্ত পুরো পৃথিবী। চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও সারা বিশ্বে কলো থাবা বসিয়েছে।
প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ এই মারণভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে আশার বাণী শুনিয়েছেন অক্সফোর্ডের মহামারিবিষয়ক গবেষক সুনেত্রা গুপ্তা।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনেত্রা গুপ্তা জানিয়েছেন, অধিকাংশ মানুষের করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে না। আর দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন আরোপ করে করোনার বিস্তার ঠেকানো যাবে না।
তিনি জানান, সাধারণ ফ্লু বা জ্বরের ক্ষেত্রে যতটা ঝুঁকি থাকে, করোনার ক্ষেত্রে একজন সম্পূর্ণ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরও ঠিক ততটাই ঝুঁকি রয়েছে। যারা বয়স্ক বা যাদের আগে থেকেই কোনো বড় রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেই করোনায় বিশেষ ঝুঁকি রয়েছে।
তাঁর দাবি, যাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, শুধু তাদের ক্ষেত্রেই প্রতিষেধক করোনায় স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি কমানোর পক্ষে সহায়ক হতে পারে। প্রতিষেধক এসে গেলে আমরা তাদের সাপোর্ট দিতে পারব। খুব সহজেই করোনার মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
তবে অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রাকৃতিক নিয়মেই করোনা একদিন হারিয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস একদিন আমাদের জীবন চলার অংশ হয়ে দাঁড়াবে। সাধারণ ফ্লুর মতো হয়ে যাবে এই মারণভাইরাস। এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ফ্লুর থেকেও কম।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করা অনেকটাই সহজ। এই গ্রীষ্মের শেষের মধ্যে, আমাদের ভ্যাকসিন কাজ করছে- এমন প্রমাণ থাকা উচিত।
করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পথে হাঁটছে যেসব দেশ, সেসব দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু হয়েছে। তাই লকডাউন করে ভাইরাস সংক্রমণ রোখার উপায় খুব একটা কাজে আসবে না। করোনাকে জীবনের অংশ করে নিতে হবে। কারণ এটা সাধারণ একটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই রয়ে যাবে। সেদিকেই ইঙ্গিত করছেন তিনি।
তিনি বলেন, করোনা ঠেকাতে লকডাউন একটি ভালো ও বুদ্ধিমান ধারণা। তবে ওষুধ ছাড়া এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন কাজ। এই ভাইরাস সাধারণ ফ্লুর মতো পৃথিবীতে রয়ে যাবে।