অবৈধ মালামাল গুলো কি বৈধ্যতায় ছাড়া হলো!! আটকের পর জোর করে ছাড়িয়ে নিতে চান ইকবাল আহমদ —————— উপজেলা চেয়ারম্যান পল্লব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব উপজেলা পরিষদের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে নদী ভাঙ্গন সমস্যায় বিয়ানীবাজারের নদী পাড়ের জনগন জড়জড়িত। যাদের পাশে কখনও কেউ দাঁড়ায়নি আমি উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই নদী পাড়ের মানুষগুলোর অজাহারি শুনে আসছি। এই নদী ভাঙ্গনের প্রধান কারন হচ্ছে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং অবৈধভাবে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা নিয়ে যাওয়াতে নৌকার ঢেউয়ের আগাতে প্রতিদিন নদীর পার ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ী, স্কুল, কলেজ ও মসজিদ। আর এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী , ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কিছ ু রাজনীতিক নেতা।
তিনি বলেন, আমি নিজে গিয়ে নদীপারের মানুষগুলোর বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করায় সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবৈধ মালামাল আটকের সিদ্ধান্ত নেয়ান হয় পরিষদকে নিয়ে। তাই আমি গত ১৪ জুলাই মঙ্গলবার নদী পথের অবৈধ মালামাল আটক করার জন্য প্রশাসনে সহযোগীতা চাই। পুলিশ প্রশাসন নানা টালবাহানা করে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। কিন্তু আমারতো জনগনকে এড়িয়ে যাবার জাগা নেই। কারণ এরাইতো আমাকে নির্বাচিত করে এই চেয়ারে বসিয়েছে। তাদের সুখে দুঃখে, সুবিধাঅসুবিধায় তাদের পাশে আমাকে থাকতে হবে। তাই আমি এই দিন স্থানীয় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, স্থানীয় জনসাধারণ ও চারখাই পুলিশ ফাঁড়ির কিছু পুলিশ নিয়ে অবৈধ মালামালের নৌকা আটক করে। অবৈধ পাথর বোঝাই নৌকা আটকের পর তা জোর করে ছাড়িয়ে নিতে চান চারখাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ। এ সময় আমি প্রতিবাদ করি। পর ক্ষনেই বিয়ানীবাজার থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমি উনার কাছে আটককৃত অবৈধ পাথর বুঝাই মালামালগুলো হস্তান্তর করি এবং ওদের কাগজ দেখতে বলি। তখন ওসি সাহেব তাদের কাছ থেকে কোন বৈধ কাগজ না পাওয়াতে পাথর বোঝাই নৌকাগুলো অবৈধ মাল বলে ঘোষনা দেন। পরে আমি ঘটনাস্থল থেকে কর্মস্থলে চলে আসার আগেই খবর পাই ওসি অবনী শংকর কর ও চারখাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ সবগুলো নৌকা তিনি ছেড়ে দেন।
তিনি দাবী করেন, অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, বিয়ানীবাজারের ইউএনওসহ অনেকেই অবগত। ঘটনাস্থল থেকেও তাদেরকে ফোন করা হয়। তারা পাথর বোঝাই নৌকার শ্রমিকদের আটক করে থানায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। তিনি অনিয়মের সাথে জড়িত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব জানান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা ইকবাল সাহেব আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। তার এলাকায় কেউ চাঁদাবাজি করলে তিনি তাকে আটক করেননি কেন বলে প্রশ্ন উত্তাপন করেন।
আজকে ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবারে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান পল্লব আরো বলেন, আজ ৩দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও অবেধ মালামাল গুলো কি বৈধ্যতা পেয়ে ছাড়া হলো আমি কিছুই জানিনা। তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি বলেন, ওসি অবনী শংকর বিয়ানীবাজার থানায় আসার পর থেকে সাধারণ লোক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, গন্যমান্য ব্যক্তি এমনকি জনপ্রতিনিধিদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে। তার ভয়ে সাধারণ মানুষ সবসময় ভীত থাকে। ওসির এমন খারাপ আচরণ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি গত ২০১৯ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ করেন। যার স্মারক নং ২১।