অশ্লীল ভিডিওতে ঠাসা ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের ফোন, বিয়েতেও ধোঁয়াশা!
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
‘শিশুবক্তা’ খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। তার থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন তল্লাশি করে মিলেছে বেশকিছু অশ্লীল ভিডিও। এমনকি ২৬ বছর বয়সী এই বক্তার বিয়ে নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে বলে র্যাবের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (০৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যাব ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান খান।
আরোও পড়ুনঃ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে, বিকেলে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর রফিকুল ইসলাম মাদানীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। সেসময় তল্লাশি করা হয় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও।
র্যাবের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে। প্রাথমিকভাবে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে তার ব্যবহৃত ফোনে। এমনকি তার বিয়ে নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে। আসমা বেগম নামে যে নারীকে বিয়ে করেছেন বলে তার যে দাবি, তা নিয়েও পাওয়া গেছে নানা তথ্য। সামাজিকভাবে রফিকুলের সঙ্গে বিয়ে হয়নি ওই নারীর।
এর আগে, গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিলে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি পেয়েছিলেন ‘শিশুবক্তা’ খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
মুক্তির পর ফেসবুক লাইভে এসে তিনি তখন বলেন, ‘আমি শুধু আপনাদের সমানে এসেছি একটা বিষয় জানানো জন্য যে, আমি এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। পল্টন থানায় কিছুক্ষণ ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাউকে দেখানোর জন্য সেখানে (মতিঝিলে) যায়নি। আমি ইসলামী মূল্যবোধ থেকে…। যে মোদি বাংলাদেশে আসবে, তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে, লাল গোলাপের শুভেচ্ছা দেওয়া হবে, সেটা দেখতে একজন মুসলমান হিসেবে খারাপ লাগবে।’
রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায়, থাকেন গাজীপুরে। তিনি নেত্রকোণার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক। রফিকুল ইসলাম রাজধানীর বারিধারায় মাদানী এভিনিউয়ের পাশে অবস্থিত জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়েছেন। এছাড়া তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গ সংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি।
এদিকে রফিকুল ইসলামের বয়স নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে এক ওয়াজ মাহফিলে তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছি। এখনো আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন? আল্লাহ তাআলা আমাকে বানাইছে। দেখতে এমন লাগে। আমার করার কিছু আছে? এজন্য আমি শুকরিয়া আদায় করি।’