নিজের ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ঘোষণা দেন ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ফ্রান্সের হয়ে ৯৭ ম্যাচ খেলে ৩৭ গোল করা বেনজেমা লিখেন, ‘আজ আমি যেখানে আছি সেখানে পৌঁছতে যে পরিশ্রম ও ভুলগুলো আমি করেছি তা নিয়ে আমি গর্বিত। আমি আমার গল্প লিখেছি ও আমাদেরটা (ভক্তদের প্রতি) শেষ হতে চলেছে।’
তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই বিদায় নিতে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে। চোটে পড়লেও বিশ্বকাপ মিশনে সতীর্থদের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। কারণ শেষ দিকে ফিট হয়ে যাবেন এমন প্রত্যাশা ছিল তার। কিন্তু ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম ও টিম ডাক্তার ফ্রাঙ্ক লে গলের আপত্তির মুখে সম্ভব হয়নি সেটা।
এদিকে বিশ্বকাপ চলাকালেই চোট কাটিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেন বেনজেমা। এমনকি রিয়ালের হয়ে লেগানেসের বিপক্ষে খেলেন একটি প্রীতি ম্যাচও। ৬০ মিনিটেরও বেশি সময় মাঠে থাকেন তিনি। অর্থাৎ দলের সঙ্গে রাখলে নকআউট পর্বে তাকে পেতেন দেশম।
তবে বেনজেমার অনুপস্থিতিতেও কাতারে ঠিকই বাজিমাত করে ফ্রান্স। টানা দ্বিতীয়বারের মত তারা পৌঁছে যায় ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার আসর ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালে। যদিও সেখানে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হেরে যায় বেনজেমার সতীর্থরা। কিলিয়ান এমবাপে ছাড়া জ্বলে উঠতে পারেননি আর কোনো ফরোয়ার্ড। যা নিশ্চিতভাবেই আরও বাড়িয়ে দিয়েছে লস ব্লাঙ্কো অধিনায়কের আক্ষেপ।
তার অবসর নেওয়ার পেছনে ফ্রান্সের কোচের সাথে তার সম্পর্কের অবনতিকে অনেকে দায়ি করছেন। ফাইনালের আগে বেনজেমা ফাইনালে খেলতে পারেন এই রকম একটা খবর প্রচার হয়। দিদিয়ের দেশামকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
২০২১-২২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বেনজেমা ছিলেন অনন্য। রিয়াল মাদ্রিদের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। এই দুটি প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন বেনজেমাই।