এমসি কলেজে ধর্ষণ: অর্জুন, সাইফুর ও রবিউলের জবানবন্দি
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজ হোস্টেলে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছে ৩ ধর্ষক সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম।
আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদলত ১ এর বিচারক জিয়াদুর রহমানের আদালতে ৩ জনই নিজেদেরকে জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
গত সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজে হোস্টেলে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামী সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাইফুরকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকে এবং নবীগঞ্জ থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে গণধর্ষণের মামলার আসামি শাহ মো. রনি, তারেকুল ইসলাম, রাজন আহমদ, আইন উদ্দিন ও মাহফুজুর রহমান মাছুম রিমান্ডে রয়েছে।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার তরুণী।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৮ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক নববধুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করে ধর্ষিতার স্বামী। এই ঘটনায় মোট ৮জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। পরে সকল আসামীর ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত। সকলেই পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে।