করোনা কমিয়েছে বিয়ের খরচ
নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা’ ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবে বন্ধ রয়েছে, বিয়ে, জন্মদিন, বৌ-ভাত সহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান।
কমিউনিটি সেন্টার গুলোতে ঝুলছে তালা। বেকার সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কমিউনিটি সেন্টারে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও বাবুর্চিরা। কারণ করোনা প্রদুর্ভাব এর কারণে হাজার হাজার লোকের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছাড়াই এখন বিয়ে সহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হচ্ছে। তবে এর মধ্যে অনেকেই আবার ঘরোয়াভাবে বিয়ে সম্পন্ন করছেন। কোন প্রকারের অনুষ্ঠান ছাড়াই সীমিত পরিসরে।
যেখানে করোনা আসার আগে একটা বিয়েতে ন্যূনতম উভয়পক্ষের মিলে ৮ থেকে ১০ লাখের বেশি টাকা খরচ হতো। এখন সেখানে বাস্তবে কোন ধরনের আয়োজন ছাড়াই ঘরোয়াভাবেই মাত্র ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা দিয়েই বিয়ে সম্পন্ন করছেন বলে অনেকে জানান। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিয়ের পর অনেকেই পোস্ট দিতে। অনেকের বন্ধুই জানেনা কখন যে তাদের বন্ধু-বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেল।
বিবাহের বিষয়ে কথা বললেই একটি কমিউনিটি সেন্টারের মালিক বলেন, কমিউনিটি সেন্টারে এখন কোন ধরনের বিবাহ, মেজবান, জন্মদিনের অনুষ্ঠান, বৌ-ভাত কিছুই হচ্ছে না। বিয়ানীবাজার উপজেলার কমিউনিটি সেন্টারগুলো এখন প্রায় বন্ধের পথে। শোনা যাচ্ছে কেউ কেউ কমিউনিটি সেন্টারে দোকান খোলার পরিকল্পনা করছেন। করোনার কারণে খুব খারাপ সময় পার করতে হচ্ছে। কমিউনিটি সেন্টারে কর্মরত কর্মচারীরা অভাবের দিন কাটাচ্ছে।
করোনা দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে হাজার হাজার লোকের খাবারের আয়োজন না করে বিয়ে সম্পন্ন হয়। শিখিয়েছে লাখ লাখ টাকা খরচ করা ছাড়াও বিয়ে করা সম্ভব। করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের সংস্কৃতি অনুসরণ করা উচিত। করোনা শেষ হলেও এই রীতি যেন প্রচলন থাকে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যারা বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য নীতি মেনেই বিয়ে করা জরুরি। কেননা সুস্থ ও নিরাপদ জীবন লাভে স্বাস্থ্য নীতি মেনে চলার বিকল্প নেই।