কালীপূজা উদ্ভোদন করে সাকিব বললেন কলকাতা আমার কাছে ঘরের মতো
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
কলকাতা আমার কাছে ঘরের মতো। তাই কলকাতার ডাক ফেরাতে পারি না।
আমি ও আমরা চাই চিরকাল ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অটুট থাক এবং আরো উন্নত হোক।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলকাতায় কালীপূজা উদ্বোধনের আগে মঞ্চে উঠে এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সাকিব আল হাসান।
দুর্গাপূজার মতো একাধিক বিধিনিষেধে হচ্ছে কালীপূজা। কলকাতায় কালীপূজা ১৪ নভেম্বর হলেও বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) উত্তর কলকাতার কাঁকুড়গাছি ‘আমরা সবাই সার্বজনীন শ্যামাপূজা’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
কলকাতার কাঁকুড়গাছি আমরা সবাই সার্বজনীন শ্যামাপূজার মূল উদ্যোক্তা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক পরেশ পালের পূজা বলে পরিচিত। এবার তাদের পূজা ৫৯তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
তবে বিধায়ক পরেশ পাল প্রতিবছর একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। প্রতিবছর এই অঞ্চলে বিশাল আকারে ইলিশ উৎসব হয়। যে ইলিশ তার একক দায়িত্বে আসে বাংলাদেশ থেকে। এবার উৎসবে ইলিশ এসেছিল ৪শ কেজি। এছাড়া তার নেতৃত্বে গণ বিয়ের আয়োজন হয় কাঁকুড়গাছিতে।
সমাজে দুস্থ ও প্রান্তিক ইচ্ছুক বিবাহযোগ্যদের একত্রিত করে নিজ খরচে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। সেই বিধায়ক এবার অলরাইন্ডার সাকিবকে এনে রীতিমতো চমক দিলেন কলকাতাবাসীকে।
সাকিবের সান্নিধ্যে পেতে কলকাতার দূরদূরান্ত থেকে জড়ো হয়েছিলেন পরেশ পালের এই পূজামণ্ডপে। হাজারো মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বলে উঠেছিল সাকিবকে চোখের সামনে পেয়ে। উৎসুক জনতার মধ্যে একটাই গুঞ্জন শোনা গেল, ‘কোন দেশি বড় কথা নয়, একজন বিশ্বসেরা বাঙালি অলরাউন্ডার। ’
বোধহয় সে গুঞ্জন সাকিবের কান অব্দি পৌঁছেছিল। আর সে কারণেই হাত তুলে জানান দিলেন, আমি তোমারে মতোই একজন বাঙালি, যেটা আমার আসল পরিচয়। তবে করোনাকালে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার সমস্ত ব্যবস্থা ছিল বিধায়কের এই পূজামণ্ডপে।
সবমিলিয়ে কালীপূজার রেশ পড়ে গেলো কলকাতায়। তবে হাইকোর্টে নির্দেশে দীপাবলিতে জ্বলবে না আতশবাজি এবং প্রতিটা পূজামণ্ডপ থাকবে ‘নো এন্ট্রি জোন। ’
অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম, আদ্যপীঠ মন্দিরের তরফে মুরালি ভাই, উপ-দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান ও উপ-দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।