কুলাউড়ায় মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে ঝড়

গতকাল ৯ মার্চ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা কুলাউড়া দ্বারা আয়োজিত বঙ্গবন্ধু টি-টুয়ান্টি ক্রিকেট টূর্ণামেন্ট ২০২২ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় আনবিটেন কুলাউড়া ও সমাজকল্যাণ সংস্থা সোনাপুর একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ম্যাচটি কুলাউড়া ক্রীড়াঙ্গনের ফেসবুক পেইজে সরাসরি লাইভ দেয়া হয়। এছাড়া যারা লাইভটি দেখতে পারেননি তারা চাইলে আশরাফুল ও আবুল হাসান রাজুর ব্যাটিং হাইলাইটস কুলাউড়া ক্রীড়াঙ্গন পরিবারের ফেসবুক পেইজে থেকে উপভোগ করতে পারবেন। 

ফাইনাল খেলায় আনবিটেন কুলাউড়ার হয়ে খেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। অন্যদিকে সমাজকল্যাণ সংস্থা সোনাপুর হয়ে মাঠ কাঁপান কুলাউড়ার কৃতি সন্তান আবুল হাসান রাজু। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আবুল হাসান রাজুর অনবদ্য শতকের উপর ভিত্তি করে সমাজকল্যাণ সংস্থা সোনাপুর নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৭২ রানের পাহাড়সম স্কোর করে। আহমেদ জনী ও আবুল হাসান রাজুর মধ্যকার পার্টনারশিপই মূলত তাদের দলকে এত বড় পুজির ভিত গড়ে দেয়। জনী ২৪ বলে ৬১ রানের একটি দুর্দান্ত অর্ধ-শতক করেন।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে আনবিটেন কুলাউড়া ইংনিসের সাবধানী শুরু করে। প্রথম চার ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান করে। প্রথম উইকেট পড়ার পর আশরাফুল যখন ব্যাট করতে নামেন তখন তার দলের জেতার জন্য ওভার প্রতি ১৫ রান করে দরকার ছিল। এই অবস্থায় আনবিটেন কুলাউড়ার ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে একমাত্র আশার আলো ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি শুরু থেকেই বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকেন। উইকেটের অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও আশরাফুল চার ও ছয়ের মারে কুলাউড়ার দর্শকদের চিত্ত বিনোদন করেছেন।  মুদ্দা কথা দর্শকরা যেই আশা নিয়ে মাঠে এসেছিলেন তার ষোলকলা পুর্ন হয়েছে আশরাফুলের ব্যাটের ভেল্কিতে। আশরাফুল মাত্র ৩৭ বলে শত রান করেন।

শেষ ছয় বলে আনবিটেন কুলাউড়ার প্রয়োজন ছিল ২২ রান। শেষ অভার বল করতে আসেন কুলাউড়ার আরেক পরিচিত মুখ ফয়সল মিন্টু। যিনি তার আগের তিন ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন। তার প্রথম বলে ফুয়াদ এক রান নেয়ায় আশরাফুল স্ট্রাইক যান, তখনও দলের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। ম্যাচটি একটি উত্তেজনাকর শেষের অপেক্ষায় ছিল। যেখানে আশরাফুল তার সেঞ্চুরিটাকে আরও রাঙাতে পারতেন দলকে জিতিয়ে।

পরের বলে আশরাফুল মিডউইকেটের উপর দিয়ে একটা বিশাল ছয় মেরে আনবিটেন কুলাউড়ার দর্শকদের প্রত্যাশার আগুনে ঘি ঢেলে দেন। তখনও ৪ বলে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। অনেকে হয়ত ম্যাচের শেষ দেখে ফেলেছিলেন কারন আশরাফুল যে ধরনের খুনি মেজাজে ব্যাট করছিলেন তার কাছ থেকে ৪ বলে তিনটা ছক্কা প্রত্যাশা করাই যেত। কিন্তু মিন্টু তার অভিজ্ঞতাকে পুজি করে দুটি মহামুল্যবান ডট বল করে আশফফুলের দলকে জয় থেকে অনেক দূরে নিয়ে যান। পরের দুটি বল ছিল নেহাত আনুষ্ঠানিকতা। যদিও ৫ম ও ষষ্ঠ বলে দুটি বিশাল ছয় মারেন কিন্তু দলের ভাগ্য বদলাতে পারেননি। যাহোক শেষ পর্যন্ত আশরাফুল ২০ ছয় ও সাতটি চারে ৫৮ বলে ১৬৭ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন। মিন্টুর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২ রানে ম্যাচটি জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় সমাজকল্যাণ সংস্থা সোনাপুর।

আশরাফুলের ৫৮ বলে ১৬৭ রানের ইনিংসটা দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন

https://fb.watch/bFSWqwPsq5/

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *