খালেদা জিয়া নিজেই ভোগ করেছে এতিমের অর্থ -প্রধানমন্ত্রী
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশের সবচেয়ে দামি হাসপাতালের হচ্ছে। যে হাসপাতাল সব থেকে ব্যয়বহুল সেখানেই চিকিৎসা হচ্ছে। তার ছেলের বউ ডাক্তার। তারেকের বউ ডাক্তার। শুনেছি অনলাইনে শ্বাশুড়িকে দেখে। ছেলের বউ, ছেলে কোনো দিনতো দেখতে আসলো না। অবশ্য কোকোর বউ দেখতে আসে। তারাতো আসে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিএনপির নেতাদের জিজ্ঞাসা করি, তারা যে সহানুভূতি দেখাতে বলে, তারা যে সহযোগিতা চায়, খালেদা জিয়া কী আচরণ করেছে? একুশে আগস্ট যে গ্রেনেড হামলা তার আগে খালেদা জিয়ার কী বক্তব্য ছিলো? (খালেদা বলেছিলেন) যে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা কোনোদিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না। এই বক্তৃতাই তো খালেদা জিয়া দিয়েছিলো এবং (বলেছিল) আওয়ামী লীগ একশ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আল্লাহর খেলা, এটা বোঝা তো ভার। বরং খালেদা জিয়াই প্রধানমন্ত্রী হতে পারে নাই, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারেনি। এটা তার ওপরেই ফলে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাটকোর কেস তার বিরুদ্ধে, নাইকোর কেস তার বিরুদ্ধে এবং এটা কিন্তু আমাদের না। আমেরিকার এফবিআই খুঁজে বের করেছে। সিঙ্গাপুরে তার এবং তার ছেলের দুর্নীতি বেরিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাই বের করেছে। সেই কেসগুলোতো আছেই। সবচেয়ে বড় কথা, এতিমদের জন্য টাকা এসেছিল, সেই এতিমদের টাকা এতিমদের হাতে কোনোদিন পৌঁছায় নাই। সে টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিজেই খেয়েছে সেই টাকা, খালেদা জিয়াই ভোগ করেছে এতিমের অর্থ। কাজেই সেই সাজা পেয়েছে এবং সেই সাজা সে ভোগ করছে। তারপর সে কারাগারে ছিলো। খালেদা জিয়ার বড় বোন আর ভাই আমার কাছে এসেছে। বোন, বোনের স্বামী, ভাই এরা সব এসেছিল। আসলো যখন খুব স্বাভাবিকভাবে রেহানাও আমার সাথে উপস্থিত ছিলো। একটা মানবিক দিক থেকে নির্বাহী যে ক্ষমতাটা আমার আছে সেটার মাধ্যমে তার সাজাটা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি এবং চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছি।