চার শর্ত মেনে শুটিংয়ে ফিরল বিএফডিসি
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
করোনা সঙ্কটের মধ্যে টানা দুই মাস ‘সাধারণ ছুটি’ শেষে চার শর্ত মেনে দাপ্তরিক কার্যক্রম ও শুটিংয়ে ফিরল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে রবিবার (৩১ মে) থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দিচ্ছেন বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া। জনসংযোগের পাশাপাশি এফডিসির ফ্লোর অ্যান্ড সেটের ইনচার্জের দায়িত্বেও আছেন হিমাদ্রি।
শুটিং করতে যে শর্তগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
১. করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সামনের দিনগুলোতে আরো ভয়াবহ অবস্থা হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আন্তঃসংগঠন ও শুটিং করার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছেন। তবে যাদের কাজ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে, তারা সাময়িকভাবে জীবন-জীবিকা চলমান রাখার স্বার্থে আন্তঃসংগঠনের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি কেউ শুটিং কার্যক্রমে নিজ দায়িত্বে অংশ নিতে চান, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন।
২. সংশ্লিষ্ট ইউনিট শুটিং শুরু করার আগেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শুটিং কার্যক্রম শুরু করবেন। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট শুটিং ইউনিটকে তার সম্পূর্ণ দায় বহন করতে হবে।
৩. প্রতিটি শুটিং ইউনিটের শিল্পী-কলাকুশলী প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন। সমস্যা দেখা দিলে প্রযোজনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সহায়তা নিয়ে তারা তা নিজ উদ্যোগে সমাধান করবেন।
৪. এই ঘোষণা সরকারের ছুটি ও লকডাউন বিষয়ক ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পরিস্থিতি বিবেচনায় শুটিং কার্যক্রম যে কোনো সময় স্থগিত অথবা সম্পূর্ণভাবে বাতিল হতে পারে।
হিমাদ্রি বড়ুয়া বলেন, দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি শুটিংয়ের জন্য এফডিসির ফ্লোরগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রযোজক ও পরিচালকরা চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার থেকে ফ্লোরে শুটিং করতে পারবেন।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে অন্যান্য সরকারি অফিসের মতো এফডিসির দাপ্তরিক কাজও বন্ধ ছিল। শুধু পরিচ্ছন্নতা শাখা কর্মীরা এফডিসির পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত ছিলেন। দফায় দফায় ছুটি বাড়ানোর পর ৩১ মে থেকে সরকারি অফিস-আদালত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার; তার সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজে ফিরছে এফডিসিও।
দুই মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কোনো চলচ্চিত্রের শুটিংও হয়নি এফডিসিতে; বিরতি কাটিয়ে চলচ্চিত্রের এ প্রাণকেন্দ্র আবারো চেনা রূপে ফিরবে বলে আশা করছেন চলচ্চিত্র-কর্মীরা।