জিন্দাবাজার থেকে কিশোর গ্যাং এর ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ
জিন্দাবাজারে কিশোর গ্যাংয়ের কাণ্ড
সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার থেকে কিশোর গ্যাং এর ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নগরীর কিশোরী মোহন স্কুলের সামনে থেকে ওই কিশোর গ্যাং এর একটি গ্রুপ আরো দুই কিশোরকে তুলে নেয়ার সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব জিন্দাবাজারের আর-বি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের আটক করে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি দল।
প্রত্যক্ষদর্শী রুম্মান আহমদ জানান, সিলেট নগরীর কিশোরী মোহন স্কুলের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল কিশোর অন্য দুই কিশোরকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেয়। এসময় তুলে নেয়া দুই কিশোরকে অন্যরা মারপিঠ করতে ছিল। সিএনজি অটোরিকশায় তুলে তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল অন্যরা। এ দৃশ্য স্কুলের পাশ থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী রুম্মান। একপর্যায়ে তিনি (প্রত্যক্ষদর্শী) এগিয়ে এসে দুই কিশোরকে ছাড়িয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করেও ব্যর্থ হন। পরে তিনি দেখতে পান গাড়িটি সামনের দিকে এগুচ্ছে। যেকোন ভয়াবহতার আশঙ্কায় তিনিও মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের পিছু পিছু যাচ্ছিলেন। জেল রোডের দিকে আসার পর সিএনজি অটোরিকশা বদল করে তারা (কিশোর দল) তুলে নেয়া দুই জনকে রিকসায় তুলে নেয়। একসময় রিকশা দুটি একটি ছোট গলির দিকে যেতে শুরু করে। তখন পিছন থেকে তিনি (প্রত্যক্ষদর্শী) রিকশা দুটিকে আটকে ফেলেন। এর পূর্বে তাদের কথাবার্তায় বেশ শঙ্কার কথা শুনছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে রিকশা ঘুরানোর সময় পূর্ব জিন্দাবাজারের আর বি কমপ্লেক্সের সামনে তাদেরকে জনতার সহায়তায় আটকে ফেলেন তিনি। এসময় ভিকটিম দুই জনের একজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশকে ফোন দেয়া হলে পুলিশ তাদের ৩ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হল- নগরীর কাজীটুলার মুরশেদ মিয়ার ছেলে ফরহাদ, উপশহর সোনারপাড়ার শামসুল হক রকি ও চারাদিঘীরপাড়ের হুসাইন আহমদ বিজয়। এর মধ্যে বিজয় এ ঘটনার ভিকটিম ছিল বলে জানায় পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান সিলেভিউকে বলেন, তারা একেক সময় একেক কথা বলছে। মূলত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কিশোররা অন্য দুই কিশোরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে আসল ঘটনা।