জুড়ীতে তিন মার্কেটের ভাড়া মওকুফ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মাহতাব মিয়া
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হাজী মাহতাব ম্যানশন এর তিনটি মার্কেটের দোকান ভাড়া মওকুফ করলেন সমাজসেবক হাজী মাহতাব মিয়া। গতবছরও করোনার লকডাউনে ব্যবসায়ীরা যখন পড়েছিল চরম সংকটে তখনও দেড় মাসের ভাড়া মওকুফ করে ব্যবসায়ীদের প্রতি মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, হাজী মাহতাব ম্যানশনের তিনটি মার্কেটে রয়েছে ২৭ টি দোকান ঘর রয়েছে। ব্যবসায়ীদের লোকসানের কথা চিন্তা করে তিনি সবগুলো দোকানের ভাড়া এক মাসের জন্য মওকুফ ঘোষণা করেন। দোকান ভাড়া মওকুফের ঘোষণায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
হাজী মাহতাব ম্যানশনের চৌমুহনীর মার্কেটের ব্যবসায়ী জয়ন্ত চন্দ শীল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৪ তারিখ থেকে দোকান বন্ধ থাকার ফলে আমাদের লোকসান গুণতে হয়েছে। এ অবস্থায় দোকানের ভাড়া নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু মার্কেটের মালিক এক মাসের ভাড়া মওকুফের ঘোষণা দেয়ায় আমরা অনেকটা স্বস্থিতে আছি।’
হাজী মাহতাব ম্যানশনের মালিক হাজী মাহতাব মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহমেদ সোহেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেন, ‘করোনা সংকটের এই কঠিন সময়ে আমাদের আব্বা হাজী মাহতাব মিয়া’র মালিকানাধীন ৩ টি মার্কেটের ২৭টি দোকানের লকডাউন সময়কালীন গতমাসের ভাড়া আগের বারের মতো না নেওয়ার পারিবারিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ এই সংকটে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবেন।’
করোনার সংকটকালে ব্যবসায়ীদের ভাড়া মওকুফ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম সপু করোনার এ সংকট কালে মালিকদেরকে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। আলাপকালে ব্যবসায়ী সপু বলেন, ‘হাজী মাহতাব মিয়ার মতো সকল মালিকদের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
হাজী মাহতাব ম্যানশন মার্কেটের মালিক সমাজসেবক হাজী মাহতাব মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীরা করোনার কারণে লোকসানে আছেন। তাঁদের লোকসানের কথা চিন্তা করে আমি এক মাসের ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক মাসের ভাড়া না নিলে আমার তেমন কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু দোকানপাট বন্ধ থাকার কারণে ভাড়া নিলে ব্যবসায়ীরা অনেক সমস্যায় পড়বেন। সেই কথা মাথায় রেখে আমি এক মাসের ভাড়া নেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সূত্রঃ জনতাবার্তা২৪