জুড়ীতে হচ্ছে দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক
জুড়ী প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের ডুলাহাজারা ও গাজীপুরের পর মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ আরেক ধাপ এগিয়েছে।
সেখানে সাফারি পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পেয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
লাঠিটিলায় ৫ হাজার ৬৩১ একর বনভূমির জায়গা জুড়ে এই সংরক্ষিত বনের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক’।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভায় সম্ভাব্যতা প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে তা অনুমোদন করা হয়।
সভায় উপস্থিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্য এলাকার চাইতে লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক স্থাপন হবে ‘সুবিধাজনক ও বাস্তবভিত্তিক’।
“এলাকার মানুষের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় এ সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এখানে সাফারি পার্ক স্থাপিত হলে বনভূমি অবৈধ দখল হতে রক্ষা পাবে।”
সাফারি পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ওই এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশের মানোন্নয়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকরা এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণীর সাথে পরিচিত হতে পারবেন।”
মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ৫০ কিলোমিটার উত্তরে এই বনাঞ্চলে ২০৯ প্রজাতির প্রাণী এবং ৬০৩ ধরনের উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, এ বনভূমির ভেতরে অবৈধভাবে বসবাস করা পরিবারগুলোর মধ্যে ৫৮টি পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি পরিবারগুলোকে রেখেই ইকোভিলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
পুনর্বাসন কার্যক্রমে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাফারি পার্ক স্থাপনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন, জুড়ী উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।