দেশের ফুটবলের নতুন দায়িত্বে জামাল–সাবিনা
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
জামাল ভূঁইয়া এ মুহূর্তে বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা। উঠতি ফুটবলারদের জন্য তিনি বড় অনুপ্রেরণারই নাম। জামালের তারকাখ্যাতিকে এবার তৃণমূল ফুটবল উন্নয়নে ব্যবহার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল ফুটবলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।
জামালের মতো সাবিনা খাতুনও মেয়েদের ফুটবলের বড় নাম। তিনিও জামালের মতোই তৃণমূল ফুটবলের জাগরণে বাফুফের হয়ে কাজ করবেন।
মূলত এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) নির্দেশেই এমন পরিকল্পনা নিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। এএফসির তৃণমূল ফুটবল কর্মসূচির তালিকা সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা। শুরুতে যে কোনো দেশকে ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন করতে হয়। এরই মধ্যে এশিয়ার ২৮টি দেশ এই তালিকায় নিজেদের অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছে। বাফুফেও আগামী ডিসেম্বরে ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করবে। এরই অংশ হিসেবে দেশের তৃণমূল ফুটবলের উন্নতির বিভিন্ন কার্যক্রম তদারকির জন্য জামাল ও সাবিনাকে শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে।
আপাতত এই দুই ফুটবলার ঢাকা, ফেনী, নীলফামারী ও মাদারীপুর জেলার তৃণমূলের বিভিন্ন ফুটবল কার্যক্রমে অংশ নেবেন। এসব জেলায় গিয়ে সেখানকার তৃণমূলের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেবেন, ওই এলাকার ফুটবলারদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাবেন।
এএফসির তৃণমূল কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সবাইকে ফুটবল খেলার সুযোগ করে দেওয়া, কোনো বৈষম্য না রাখা, ফেয়ার প্লে’র সম্মান করা, সর্বত্র ফুটবল ছড়িয়ে দেওয়া, ফুটবলারদের নিরাপত্তা সবার আগে নিশ্চিত করা, সতীর্থদের মধ্যে সম্পর্ক, দলীয় বোঝাপড়া ও স্কিলের উন্নতি করা। আর এসব বিষয়গুলো নিয়েই তৃণমূলে কাজ করবেন এই দুই ফুটবলার।
এমন একটা সুযোগ পেয়ে গর্বিত জামাল, ‘আমাকে তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলের শুভেচ্ছা দূত বানিয়েছে বাফুফে। এমন একটা সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য বাফুফেকে ধন্যবাদ। আমি এতে ভীষণ গর্বিত। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ফুটবলে উদ্বুদ্ধ করাই হবে আমার কাজ।’
দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় সাবিনার কণ্ঠে, ‘আমার আশা থাকবে তৃণমূলের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা দুজন যেন তৃণমূল ফুটবল নিয়ে অনেক কাজ করতে পারি সেটাই প্রত্যাশা থাকবে। দেশের ফুটবল যেন অনেক সমৃদ্ধ করতে পারি সেটাই আমার চাওয়া।’