ধর্ষণের প্রতিবাদ করার দরকার নেই, সরকার বিচার করছে: ওবায়দুল কাদের
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রতিবাদ করার দরকার নেই। সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে, বিচার করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই সরকার রেহাই দিচ্ছে না। সরকারি দলে থেকে অপরাধ যারা করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে।’ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আপনারা শুধু বলুন, কোথায় কী অপরাধ হয়েছে, সরকারের গোচরে সেটা না থাকলে। সরকার অবশ্যই তদন্ত করে বের করবে।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত কোনো অপরাধীকে কখনো ন্যূনতম ছাড় দেয়নি, দিচ্ছেও না। অপরাধী যত বড় নেতা কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক না কেন- স্বপ্রণোদিত হয়ে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে ধর্ষণকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করলে বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ধর্ষণ একটা সামাজিক ব্যাধি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। ধর্ষকদের একমাত্র পরিচয়, সে ধর্ষক, অপরাধী ও দুর্বৃত্ত। আর দুর্বৃত্তের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। ধর্ষণ রোধে ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিতভাবে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এই সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। এটা আরো জোরদার করতে সবাইকেই ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার নিজের দলের লোক হলেও তাকে রেহাই দেয় না। কারো প্রতি সরকার পক্ষপাত দেখায়নি। আবরার হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তারা ছাত্রলীগ পরিচয়ের হলেও তাদের রেহাই দেওয়া হয়নি। ফেনীতে নূসরাত হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ পরিচয়ে কেউ কেউ ছিল, তাদেরও একইভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশনা হচ্ছে অপরাধী যত বড় নেতাই হোক তার অপকর্মের শাস্তি তাকে পেতেই হবে’।