নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করায় বরখাস্ত হলেন সেই ইউপি চেয়ারম্যান!
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করায় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তালেবকে (৪৫) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখা থেকে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) তারিখে ইস্যুকৃত এবং সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন মারফত এ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনটি বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসকের দফতরে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
এদিকে সাময়িক বরখাস্ত আদেশের প্রজ্ঞাপনটি স্থানীয় সরকার বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ অমান্য করে মোছা. বর্নিতা ওসমান বর্নিকে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে বিবাহ করার অভিযোগ স্থানীয়ভাবে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি, জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে তাকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে অতি গোপনে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দোলন গ্রামের অধিবাসী প্রতিবন্ধী মো. ওসমান গনি সরকার ওরফে বাচ্চু মিয়ার কন্যা এবং বকসীগঞ্জ রাজিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বর্নিতা ওসমান বর্নিকে বিয়ে করেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব।
এর আগে দু’বার বিয়ে করেছেন ওই চেয়ারম্যান। প্রথম বিয়ে করার পর কিছুদিনের মধ্যে তার এই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে স্ত্রী এবং কলেজপড়ুয়া কন্যাসন্তান রয়েছে।
এদিকে তৃতীয় বিয়ে করার জন্য বর্নিতা ওসমান বর্নির পিএসসি পরীক্ষার সনদপত্রে বর্ণিত জন্মতারিখ জালিয়াতি করে ২০০০ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে তার পিএসসি পরীক্ষা এবং জেএসসি পরীক্ষার মুদ্রিত ফলাফলে বর্নির জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর লেখা রয়েছে। এ হিসাবে বিয়ের সময় বর্নির বয়স ছিল ১৭ বছর ১ মাস ৮ দিন।