পারিশ্রমিক কমিয়ে চলচ্চিত্রশিল্পের পাশে তারকারা
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
করোনাকালে সংকটের মুখে পড়েছে চলচ্চিত্রাঙ্গন। এই সময়ে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে গতিশীল করতে পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ঢালিউডের তারকারা। তাঁরা এখন থেকে ছবিপ্রতি তাঁদের পারিশ্রমিক কমিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শাকিব খান তাঁর পারিশ্রমিকের তিন ভাগের দুই ভাগ কমিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। তিনি বলেন, ‘আপাতত আগের সম্মানী নয়। চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে নিজের সম্মানী কমানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’
শুধু তা–ই নয়, শাকিব তাঁর অন্য সহশিল্পীদেরও পারিশ্রমিক কমিয়ে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। শাকিব খানের ঘোষণার পরে চলচ্চিত্রের অনেক তারকাই পারিশ্রমিক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নায়িকা মাহিয়া মাহি জানিয়েছেন, ছবিপ্রতি তাঁর পারিশ্রমিক কমিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগে ছবি প্রতি ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিতাম। এখন থেকে ৭ লাখ নেব।’
মাহিয়া মাহি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা অঙ্গন। প্রযোজক বাঁচলে, সিনেমা বাঁচবে। সিনেমা বাঁচলে শিল্পীরা বাঁচবেন। বাজেট কম হলে একজন প্রযোজক সহজেই তাঁর বিনিয়োগ উঠাতে পারবেন। এ কারণে পারিশ্রমিক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পারিশ্রমিক কমানোর পাশাপাশি আরও নানা সহযোগিতা করতে রাজি আরেক নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমি আমার পারিশ্রমিকের অর্ধেক ছেড়ে দেব। পাশাপাশি শুটিংয়ে যদি আমার গাড়িটিও ব্যবহার করতে চান কোনো পরিচালক, ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া বাড়তি কস্টিউম খরচ কমাতে আমার নিজের পোশাক পরেই শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে রাজি আছি।’
পারিশ্রমিক কমানোর তালিকায় আছেন মিশা সওদাগর, বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া, পূজা চেরি। মিশা সওদাগর বলেন, ‘চলচ্চিত্র আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এখন চলচ্চিত্রের দুর্দিন। এখন আমাকে এই ইন্ডাস্ট্রিকে দিতে হবে। এই দুঃসময়ে নতুন ছবিতে কাজ করতে প্রযোজকের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে পারিশ্রমিক কমিয়ে দেব।’
নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘আমাদের শিল্পীদেরও দায়িত্ব আছে। পারিশ্রমিক কমিয়ে সিনেমা তৈরিতে উৎসাহিত করতে হবে প্রযোজকদের। সিনেমার স্বার্থে সামনে আমার নিজের পারিশ্রমিক কমিয়ে প্রযোজককে সহযোগিতা করব।’
তবে তরুণ অভিনয়শিল্পী সিয়াম আহমেদ বললেন ভিন্ন কথা। সিয়াম বলেন, ‘আমি অভিনয়শিল্পী। এটা ডিসকাউন্টের কোনো বিষয় নয়। একজন শিল্পী হিসেবে আমি মনে করি, এটা করাও উচিত না। একটি সিনেমাতে পারিশ্রমিকের ব্যাপারটি সবার পরে আসে। প্রযোজক যদি মনে করেন, ছবিতে লোকসান হবে, তাহলে তিনি শিল্পীর সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে শেয়ারিংয়ে চলে যেতে পারেন। তাহলেই আর ঝামেলা থাকছে না।’