পারিশ্রমিক ছাড়াই ১৩ বছরে ৩ হাজারের বেশি কবর খনন করেছেন বিয়ানীবাজারের মনসুর
ছরওয়ার হোসেনঃ
বলছি মনসুরের কথা, আমাদের মনসুর বয়স মাত্র ত্রিশ বছর, বাড়ী আমাদের বিয়ানীবাজার পৌরসভার কসবা গ্রামে,মাত্র ৩০ বৎসর বয়সে সে কসবা,বিয়ানীবাজার সহ পার্শবর্তী এলাকায় কোন পারিশ্রমিক ছাড়া প্রায় ৩ হাজারের উপরে কবর খনন করেছে।
<span;>আল হামদুলিল্লাহ্।
মনসুর,তার বয়স যখন ১৭ তখন থেকে একজন সেচ্ছাসেবী হিসেবে কবর খনন করে আসছেন, তার এই ৩০০০ খবর খনন মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
মনসুর পেশায় একটি লাইব্রেরির মালিক, আমাদের কসবা ত্রিমুখী বাজারে তার একটি লাইব্রেরি রয়েছে যার নাম লতিফিয়া লাইব্রেরি।
আমাদের পাড়া সহ পরিচিত কারো নিকট আত্মীয় মারা গেলে সাথে সাথে কবর খনন করার জন্য মনসুরকে ফোন, মনসুর তার নিজের জরুরী কাজ রেখে সাথে সাথে তার দল নিয়ে কবর খনন করার জন্য হাজির, বিনা পারিশ্রমিকে সেচ্চায় এই সামাজিক কাজ তিনি করে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১৩ বৎসর থেকে।
মনসুর আমাদের সকলের পরিচিত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার( ছতাই মিয়া) চাচার ছেলে।
এক সময় ছতাই চাচার চানা পিয়াজি আমাদের এলাকা সহ সমস্ত বিয়ানীবাজার অঞ্চলে খুব স্নামধন্য ছিল।
বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে মানুষ অনেক ধরণের পেশায় নিয়োজিত কিন্তু একজন মানুষ মারা যাওয়ার পরে তার কবর খনন বা গোসল দেয়া এই কাজ গুলো আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষের অজানা, মনসুর সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা আর মহান আল্লাহ্-র সন্তুষ্টির জন্য বিনা পারিশ্রমিকে এই কাজ করে আসছে তার জন্য আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তাকে সর্বোচ্চ উত্তম প্রতিদান দেবেন।
প্রচার বিমুখ মনসুরের জন্য অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো, জীবনের শেষ অবধি যেন সে এইভাবে এই মহতী কবর খননের কাজ করে যেথে পারে।