প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
আইনজীবী হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক। ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি একই সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী হিসেবে কাজ করে আলোচনার কেন্দ্রে আসেন।
চিন্তা ও কর্মে ছিলেন তিনি সততার প্রতীক। বলতেন যা তির্যক হলেও সত্যের প্রতি অনুগত। আইনজীবী হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন। ভালো মানুষের জনস্বীকৃতিও পেয়েছেন জীবনভর।
সফলতার অনেক গল্পই আছে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি লড়াই বিপুল পরিচিতি এনে দেয় তাকে। ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তবে, তাদের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে দ্বিধা করেনি তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নে আইন প্রনয়ণে তারও ভূমিকা ছিল। ১৯৯০ সালের ৭ই এপ্রিল থেকে ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক-উল হক। কিন্তু কোনো সম্মানী নেননি তিনি। পেশাগত জীবনে সফল এই মানুষটি অর্থ, বিত্তবৈভবের প্রতি মোহ ছিলেন না মোটেই। বিলিয়েছেন অর্থ মানুষের সেবায়। গড়েছেন হাসপাতাল। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য সেবামূলক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। তার বাল্যকাল কেটেছে কলকাতার চেতলায়। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তৎকালীন পাকিস্তানের নাগরিক হয়ে চলে আসেন ঢাকায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফৌজদারি আইনে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
উজ্জ্বল ব্যতিক্রমের উদাহরণ রেখে চলে গেলেন তিনি। তবে, মানুষের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার যে মশাল জ্বালিয়ে গেলেন তা আলো দেবে আগামীর মানুষকে।