বসতঘরে শিক্ষিকাকে গলাকেটে হত্যা, পাশে ঝুলছিল গৃহকর্মীর লাশ
বিয়ানীবাজার ডাক ডেস্ক
ওসমানীনগরে তপতি চৌধুরী (৪২) নামের এক শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার মধ্যরাতে ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউপির সোয়ারগাওয়ের খয়েরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।সেখানে শিক্ষিকার ঘর থেকে তার গলাকাটা ও ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।
ওই শিক্ষিকার ঘর থেকে তার কাজের ছেলের (গৃহকর্মী) ঝুলন্ত লাশও উদ্ধার করে পুলিশ। ওই কাজের ছেলের নাম গৌরাঙ্গ বলে জানা যায়।
নিহত শিক্ষিকা তপতি ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউপির খয়েরপুর সোয়ারগাও গ্রামের ডা. বিনয় ভূষণ দে’র স্ত্রী। তিনি স্থানীয় সোয়ারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, নিহত শিক্ষিকার স্বামী ডা. বিনয় ভূষণ দে তার নিজের চেম্বার থেকে রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়ায় স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকা তপতি চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে। সেখানে গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় কাজের ছেলে গৌরাঙ্গেরও লাশ উদ্ধারকেরা হয়। শিক্ষিকা তপতিকে কে বা কারা কী কারণে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
ওসির ধারণা সন্ধ্যার পর কোনো একসময় হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ঘটনাস্থল থেকে ওসমানীনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা জানান, বাসার বাথরুমের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মেঝেতে তপতি রানী দে’র গলাকাটা মৃতদেহ ও পাশে গৌরাঙ্গ বৈদ্যর ঝুলন্ত মৃত দেহ ছিল। এসময় পুরো ঘর রক্তে ভেজা ছিল।পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে দু’জনের মৃতদেহ ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেন।
সুত্রঃ শ্যামল সিলেট