বিথীর ৯৮ লাখ টাকা ইভ্যালিতে, সব হারানোর শঙ্কা!
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
গ্রাহকের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। গ্রেফতারের পর থেকেই অনেক গ্রাহক তাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। শুক্রবার (১ে৭ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে শাহবাগে বিভোক্ষ করে একদল গ্রাহক। তাদের সেই বিক্ষোভেই নজরে পড়েন মাছুমা আক্তার বিথী নামের এক নারী।
কথা বলে জানা যায়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে দুই বছর ধরে পণ্য সরবরাহ করছিলেন বিথী। এ বছর মে পর্যন্ত সব টাকাই পেয়েছেন ঠিকঠাকভাবে। কিন্তু প্রায় চার মাস ধরে পণ্য দিলেও মিলছিল না টাকা। তাঁর পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৮ লাখ টাকা। বিথী জানান, নিউ মার্কেটের বিশ্বাস বিল্ডার্স এবং নিউ পল্টনে তাঁর দুটো শোরুম আছে। মেয়েদের পোশাক এবং রান্না সামগ্রীর ব্যবসা তাঁর। মহামারিতে অন্য সবার মতো দেড় বছর ধরে ব্যবসাতেও চলছিল দুঃসময়। এই দেড় বছরের মধ্যে কয়েক মাস মার্কেট বন্ধ থাকায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি ইভ্যালিতে পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন দেরিতে হলেও টাকাটা অন্তত পাবেন। কিন্তু ইভ্যালির মালিক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল গ্রেপ্তার হওয়ায় সব হারানোর শঙ্কায় পড়ে গেছেন। তাঁর আশা, রাসেল মুক্তি পেলে টাকা ফেরত পাবেন। অন্যথায় কেউ তাঁর টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে না।
মাছুমা আক্তার বিথী বলেন, আমাদের কষ্ট আপনারা কীভাবে বুঝবেন? আপনারা তো ব্যবসা করেন না। ইভ্যালি থাকলে এমনিতেই আমরা টাকা পাব। এখন তো এইটা বন্ধ করার পাঁয়তারা চলতেছে। বিথীর মতোই শুক্রবার শাহবাগে জড়ো হয়েছিলেন ইভ্যালির শতাধিক গ্রাহক, পণ্য সরবরাহকারী এবং কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দিলে ইভ্যালি বাঁচবে। তাঁরাও টাকা ফেরত পাবেন। নয়তো সব হারিয়ে পথে বসতে হবে তাঁদের।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ইভ্যালি টাকা পাচার করেনি। তাঁদের টাকা দেশেই আছে। ইভ্যালির গ্রাহকদের কাছেই আছে। বড় বড় শিল্পপতিরা যদি হাজার কোটি টাকা ঋণ করেও মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারেন, তাহলে রাসেল কেন জেলে থাকবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।