বিয়ানীবাজারে করোনার দুঃসময়ে জনগণের পাশে নেই রাজনৈতিক দলগুলো
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
বিয়ানীবাজার উপজেলায় করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে সরকারি দল ছাড়া মাঠে একেবারেই অনুপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলো। বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা বাদ দিলে বরং সুবিধাবঞ্চিত মানুষ পাশে পাচ্ছে জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, সরকারি-বেসরকারি ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের আস্থা অর্জন করতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সবক্ষেত্রে জন সম্পৃক্ততায় ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলো।
কোভিড-১৯ এর আঘাতে বিশ্বজুড়ে বিপর্যস্ত চিকিৎসা, অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থা। দেশেও প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।
বিয়ানীবাজার উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় বাড়ছে দারিদ্রের হারও। অথচ এমন সময় অসহায় মানুষ পাশে পাচ্ছে না রাজনৈতিক দলগুলোকে। প্রথম দিকে ত্রাণসহ কিছু তৎপরতা দেখা গেলেও সঙ্কট যতই ঘনীভূত হচ্ছে দলগুলোর নিষ্ক্রিয়তাও যেন তত বাড়ছে ।
এক সিএনজি অটোরিকশাচালক বলেন, যখন ভোট আসে তখন এই দল সেই দল, কত দলের লোকই তো আসে। কিন্তু এখন আর কেউ আসেন না।
এক দোকানদার বলেন, কেউ খোঁজও নিলো না; আমরা খেয়ে আছি নাকি না খেয়ে আছি।
যদিও নেতাদের দাবি সামর্থ্য অনুযায়ী জনগণের পাশে থাকছেন তারা।
বৈশ্বিক এই মহামারীর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর এই জনসেবাবিমুখতা দলগুলোকে জনবিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের দিকে ঠেলে দেবে বলে মত বিশ্লেষকদের।
রাজনৈতিক দলগুলোর এই নীরবতা জনগণ সহজভাবে নেয়নি বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যারা রাজনৈতিক দল করেন তারা তো সংগ্রাম করেই এতদূর এসেছে। এই সংগ্রামে কেনো তারা পিছিয়ে পড়বে। এই বিষয়টাকে জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। তৃণমূলের নেতাদের যেভাবে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কথা তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। বরং লুটপাটের বিরাট একটা উৎসব যেনো চলছে।
জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল সম্পৃক্ত হলে লকডাউন সফল হওয়ার পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।