বিয়ানীবাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা ও নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, আহত ৫
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
বিয়ানীবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতঘরে প্রবেশ করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীর শ্লীলতাহানী, স্বর্ণালংকার লুট, ৯০ বছরের বৃদ্ধ, মহিলা, শিশুসহ আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ছোটদেশ ছুটিয়াং গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৮(তাং ২৩/০৬/২০২০ইং)
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা, মনোমালিন্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে অতর্কিতভাবে প্রতিপক্ষরা বসতবাড়ীতে হামলা করে। রুহেল আহমদ (৪০) কে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে দেলোয়ার হোসেনের বুকে শাবুল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। আঘাতে আহত দেলোয়ার হোসেন মাটিতে লুঠিয়ে পড়লে লিয়াকত আলী (৫০) ও শায়েল আহমদ (৪৫) উভয়ে মিলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে। লিয়াকত আলী (৫০) ছায়াদ আলী (৯০) কে বাড়ি দিয়ে নাকে ও ঠোটে জখম করে এবং আব্দুল মজিদ (২২) বাদীর পিতাকে দা দিয়ে হাতে কোপ মেরে জখম করে। আব্দুল মালিক (২০) হাতে থাকা দা দিয়ে রাজনা বেগম’র (৩০) মাথায় আঘাত করে জখম করে এবং আঘাতের পর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আব্দুল মালিক মহিলার চুল ও কাপড় ধরে টানা হেছড়া ও শ্লীলতাহানী করে জোরপূর্বক তার গলা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যমানের ২ ভরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়।
আব্দুল হাছিব (১৮) বাদীর ৬ মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে ডান হাতের কবজীর উপর আঘাত করে হাড় ভাঙ্গা ও ফাটা জখম করে। শাহীন আহমদ (২৫) মামলার স্বাক্ষী জনি আক্তার’র (২৮) গলা থেকে ৯০ হাজার টাকা মূল্যমানের দেড় ভরি স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালায়। মাহমুদুল হাছানকে (১৩) মরপিট করে এবং তার হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাদীর বসতঘর, দরজা, জানালা, কেচি গেইট, আসবাবপত্র ভাংচুর করে ১৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আহতরা বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে বিবাদীরা উশৃংখল আচরণ, নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সুযোগ পেলে আমাদেরকে মেরে লাশ গুম করার গুমকি দিতেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ অবণী শংকর কর বলেন, মামলার ১নং আসামী রুহেল আহমদকে আটক করে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।