বিয়ানীবাজারে স্বাস্থ্যকর্মীকে কুপিয়ে আহত, বন্ধ ঘরে যুবতীর আত্মহত্যা
নিজস্ব সংবাদদাতা
বিয়ানীবাজার উপজেলার খশিরবন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইডার (সিএইচসিপি) গোপাল দাসকে কুপিয়ে আহত করেছে এক যুবতী। যুবতীকে ক্লিনিকের একটি কক্ষে আটকে রাখলে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নে সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবতী খয়রুন্নেছা (৩০) কুড়ারবাজার ইউনিয়নের নামনগর এলাকার মনির আলীর কন্যা। আহত গোপাল দাস একই ইউনিয়নের খশিরবন্ধ এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, যুবতী খয়রুন্নেছা দা হাতে ক্লিনিকে প্রবেশ করে সিএইচসিপি গোলাপ দাসকে কুপাতে থাকে। গোপাল দাসের চিৎকার শোনে পাশের ফার্নিচার ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে রক্তাত্ব অবস্থায় একটি অটোররিক্সা দিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। গোপাল দাসের মাথা ও হাতের আঘাত রয়েছে। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে গোপাল দাসকে হাসপাতালে প্রেরণ করে স্থানীয়রা কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন ঘটনাকারী খয়রুন্নেছাকে। তখন ক্লিনিকের ঘরের ভেতরে আটকে রাখা যুবতী ক্লিনিকের পরামর্শ ও স্বাস্থ সেবা কক্ষের দরজা ভেতের ছিটকিনি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করে। কোন সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে যুবতীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। যুবতী কক্ষে থাকা পর্দার একটি অংশ দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় বলে জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, কক্ষের ভেতর যুবতীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আমরা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি।