বিয়ানীবাজার বাসুদেব মন্দিরের অনাকাংকিত ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান
বিয়ানীবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দেবপীট ৭ম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত শ্রী শ্রী বাসুদেব মন্দিরের রথযাত্রা মেলার শেষ দিনে কতিপয় পুলিশ মেলায় প্রবেশ করে অনাকাংকিত ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে গত মঙ্গলবার ১ আগস্ট শ্রী শ্রী বাসুদেব মন্দির প্রাঙ্গনে।
সিলেটের ভারপ্রাপ্ত এসপি, গোলাপগঞ্জ এবং জকিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি, বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের দ্বায়িত্বশীল অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দের উপস্থিতিতে মন্দির প্রাঙ্গনে মন্দির কমিটির সাথে পুলিশ প্রশাসনের এক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির কমিটির পক্ষে সভাপতি অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত) অমিতাভ পাল চৌধুরী, সহসভাপতি অমলেন্দু দে, রথযাত্রা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অরুণাভ পাল চৌধুরী মোহন, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্টাচার্য্য, সুখেন্দু চক্রবর্তী, ক্ষমা বৈদ্য, অনুকুল দেব, প্রশান্ত শেখর দে, শংকর ভট্টাচার্য্য, বিপ্লব চক্রবর্তী, সুজিত কর, অজিত আচার্য্য, অশোক দাশ চৌধুরী, অরুণ বৈদ্য, অজয় দাস, সুজিত দে,সন্জয় পাল,নিলু কর, নানু চক্রবর্তী, তন্ময় পাল চৌধুরী, বাবলু দে, প্রদীপ দাস, বাসু দেব, রান্টু দেব সহ হিন্দু কমিউনিটির নেতৃস্থনীয়রা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র ফারুকুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য মো খসরুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আওয়াল, সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবাদ আহমদ, স্থানীয় কাউন্সিলর এনাম হোসেন, সাংস্কৃতি কর্মী আহমদ শাফি সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক ৩১ জুলাই বিকালে পুলিশের এই বর্বরোচিত আচরণ ভারপ্রাপ্ত এসপি মহোদয়ের কাছে উপস্থাপন করা হয়। তিনি সব ঘটনা শুনে পুলিশের অতি উৎসাহী এই ঘটনার তদন্ত করতে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুসারে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে বাসুদেব মন্দিরের ঐতিহ্যবাহী মাসব্যাপী রথযাত্রা মেলায় পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা থাকবে বলে উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্ত করেন। পরিশেষে উনার অনুরোধে মন্দির কমিটি পূজা বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি