বিশ্বের অর্থনীতির চাকা কোন দিকে যাচ্ছে
মোঃ জাকির হোসেনঃ
পুরো বিশ্বের অর্থনীতির চাঁকা কোন দিকে যাচ্ছে তা বুজা মসকিল তবুও মানুষ আসা নিয়ে বেঁচে আছে। এই বুজি পুনরায় ফিরে আসবে গোটা বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ বহিঃবিশ্বের ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। প্রবাসীরা স্বচ্ছল না হলে।হয়তো প্রবাসীদের পাটানো রেমিটেন্সের বিরাট অংশ হারাতে পারে বাংলাদেশ।
বিশ্বের শাসনকর্তা দাবিদার যুক্তরাষ্ট্র অচল হওয়ার মতো অবস্থায়। পর্যটক শুন্য হওয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় অঙ্গরাজ্যে গুলোর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দস নেমে আসছে হয়তো অনেকের চাকরি হারাতে হবে। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানের অনেক ম্যানেজমেন্ট ই- মেইলে বার্তাপ্রেরণ করেছে। কাজে যোগ দেওয়ার জন্য।অনেকের আবার প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ধের ও বার্তা এসেছে।
তন্মধ্যে অনেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন। কাজে যোগ দিলে ও হিসাব কসতে কসতে বেসামাল। কেন না কাজ না করলে ও কবিড-১৯ এর কারনে পুর্বে সাপ্তাহিক ইনকামের তুলনায় ঘরে বসেই অনেকেই বেশি (আয়) ইনকাম করেছেন। (এখানেই অনেক নিয়মনিতী ও রয়েছে)। তবে জুলাই মাস পর্যন্ত ফেডারেল সরকারের বাড়তি এ সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যারা কাজে ফিরে যাননি তাদের জন্য পার্ট টাইম কাজে ফিরে যাওয়া লোকেরা ও এর আওতায় রয়েছেন।
বেকার ভাতা ২৬ সপ্তাহের পরিবর্তে ৩৯ সপ্তাহ করা হয়েছে।বেকার ভাতা ইনকামের ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ প্রদান করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষরা ৬ মাস থেকে ১৮ মাসের কাজের পুরো বিবরণ সহ অনেক ঝামেলা রয়েছে। কোবিড-১৯ এর কারনে তা অনেক শিতল করা হয়েছে। তবে কেউ কেউ এ সুবিধা এখনও ভোগ করতে পারছেন। পর্যায়ক্রমে ভোগ করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বেকার ভাতার জন্য প্রতি সপ্তাহে নিয়মানুযায়ী আপডেট করা বাধ্যতামূলক।
বর্তমান এ সুযোগ সুবিধার জন্য অনেকেই কাজে যাওয়ার অনিহা পোষন করছেন। বিশেষ করে এশিয়ান জনগোষ্টি। তবে এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন ম্যাস্কিকান ও কৃষ্ণাঙ্গরা তারা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এশিয়ান জনগোষ্টিরা যারা ঘন্টা হিসাবে কাজ করেছেন।তারা মহা বিপদের আশংকায়। নতুন করে লোক নিয়োগ নিচ্ছে না। পুরাতনরা ও কাজ ফিরে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধার ঘোষনা থাকলেও প্রেসিডেন্ট এখন ও স্বাক্ষর করেন নি। তা আলোর মুখ দেখলে বাংলাদেশসহ এশিয়ানরা অনেকাংশে উপকৃত হবেন।তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক ধরনের লোন দিচ্ছে।ব্যবসায়ী, বাসা-বাড়ীর মালিকরা এতে বেশি উপকৃত হবেন বলে অনেকেই মন্তব্য করতে শুনা যাচ্ছে।
গোটা ইউরোপের অবস্থা যদি যুক্তরাষ্ট্রের মতো হয়।পর্যটকদের আনা গোনা না থাকে। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রবাসীদের পাটানো রেমিটেন্সর উপর প্রভাব পড়ার আশংকা দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে সিলেটের প্রবাসীরা মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে। এই দুর্যোগের মুর্হোতে দেশের স্বজনদের জন্য অনেক বৈদেশিক মুদ্রা
পাটিয়েছেন। নিজের আগামী দিনের কথা ভেবে হোক আর না ভেবে হোক।শুধু সিলেট নয় পুরো বাংলাদেশের জনগন প্রশংসার দাবিদার।
তবে অর্থনীতির মেরুকরণ কোন দিকে যাবে বিশ্বের অর্থনীতিবিধরা ভালোই জানেন, হয়তো বা এর হিসাব নিকাশ পর্যালোচনা করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ও বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য।