বিয়ানীবাজারের শেওলায় ট্রলি চালানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, একজনের অবস্থা গুরুতর
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নে রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলাচলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত: ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইকবাল আহমদ (২২) নামের একজনের অবস্থা গুরুতর। আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শনিবার দুপুরে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আহত যুবক দিঘলবাক গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, গ্রামের রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলাচলের সময় দুই ট্রলি চালকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরমধ্যে হামলাকারী ট্রলি চালক আব্দুর রসুুুক শেওলা ইউপি চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিনের গাড়িচালক। এদিকে কথা কাটাকাটির জের ধরে বুধবার তারাবীর নামাজের পূর্ব মুহূর্তে দু’পক্ষ স্থানীয় নয়াবাজারে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় ইকবালসহ আরো ২ জন আহত হন।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল তৎপর হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী। তারা বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করে দিবেন বলে মামলা দায়ের করতে নিষেধ করেন।
এজন্য ঘটনা পরবর্তী সময়ে আহতদের পক্ষে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি।
পরে আহত ইকবালের অবস্থা গুরুতর হলে তার ফুফু লাইলী বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং ০৮)
এ বিষয়ে ৪ নং শেওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারীর ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩/৪ জন আহত হয়েছেন। মামলা হয়েছে। আমি ওসির সাথে কথা বলেছি।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, শেওলায় মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামী ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নূর মিয়া জানান, ইকবালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি। দিঘলবাক গ্রামের আব্দুর রসুকসহ আরো ৭-৮জনকে আসামী করা হয়েছে।