বিয়ানীবাজারের সন্তান মোয়াজ্জেম যুক্তরাজ্যে “কাউন্সিলর” নির্বাচিত
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
নর্থ ওয়েষ্ট ইংল্যান্ডের ইংরেজ অধ্যূষিত এলাকা ওয়ারিংটন। ওয়ারিংটন বারা কাউন্সিল’র গ্রেট সানকি (সাউথ) ওয়ার্ড থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের খাসা গ্রামের কৃতি সন্তান ডাঃ মতিন উদ্দিন আহমদের সুযোগ্য পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন “কাউন্সিলর” নির্বাচিত হয়েছেন। ৬ মে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে বিজয়ী ওয়ারিংটনে তিনিই প্রথম কোন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ব্যক্তি, যিনি স্থানীয় জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হলেন।
তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক মোয়াজ্জেম
দীর্ঘদিন থেকে তিনি স্থানীয় কমিউনিটিতে কাজ করছেন। সংখ্যালঘু মানুষের হয়ে তিনি কাজ করছেন এই এলাকায়। ওয়ারিংটনের এথনিক কমিউনিটি এসোসিয়েশন’র সাধারন সম্পাদকও মোয়াজ্জেম হোসেন।
ওয়ারিংটন জামে মসজিদের প্রতিষ্টাতা সেক্রেটারীর দায়ীত্বেও রয়েছেন তিনি। পরে মুসলিম কম্যুনিটি জায়গা কিনে শ’সাতেক মানুষের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মসজিদ ও তৎসংলগ্ন মুর্দা গোসলখানা ও অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধাসহ মুসলিম কম্যুনিটি সেন্টার তৈরীতে তাঁর নেতৃত্ব ছিল উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া কাউন্সিল থেকে মুসলিম কমিউনিটির জন্য গোরস্থানের জায়গা নির্ধারণ এবং অনুমতি নিতে তিনি কাজ করেছেন নিরলসভাবে। তিনি ওয়ারিংটন ইসলামিক এসোসিয়েশনের ট্রাষ্টি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ার হিসেবেও দায়ীত্ব পালন করছেন।
মোয়াজ্জেম ওয়ারিংটন লেবার পার্টির নির্বাহী সদস্য এবং পার্টির কমিউনিটি অফিসারের (বেইম) দায়ীত্বরত। স্থানীয় ওয়ারিংটন ইসলামিক সেন্টারে সম্প্রতি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়ীত্ব পালন করেন। চেশায়ারের পুলিশের চীফ কনস্টেবল নিয়োগ কমিটির সদস্য হিসেবেও মোয়াজ্জেম হোসেন কাজ করেছেন। বিভিন্ন জনহিতকর কাজের পাশাপাশি মোয়াজ্জেম কাজ করছেন স্থানীয় গৃহহীনদের জন্য।
পিতা ডা: মতিন উদ্দিন আহমেদের ওয়ারিংটন হসপিটালে কর্মরত থাকাকালীন ১৯৮১ সনে তিনি এ এলাকায় যান। পড়াশুনা শেষ করেই তিনি স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন জনহিতকর কাজে জড়িয়ে পড়েন। মোয়াজ্জেম হোসেনের দেশের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার খাসা (কসবা) গ্রামে।
উল্লেখ্য যে, লেবার নেতৃত্ব এবারও ধরে রেখছে ওয়ারিংটন কাউন্সিল, যদিও ৯ টি আসন তারা হারিয়েছে এ নির্বাচনে।
সূত্রঃ 52 বাংলা টিভি