বিয়ানীবাজারেে ৫শ’ ৩১টি মসজিদ পাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
বিয়ানীবাজার উপজেলার ৫শ’ ৩১ টি মসজিদ পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত অনুদানের চেক। উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের এই মসজিদগুলোতে সরকারি এই অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে শীঘ্রই চেক হস্তান্তরের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
ইউএনও কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে ৪৪টি, চারখাই ইউনিয়নে ৪৭টি, দুবাগ ইউনিয়নে ৪৯টি, শেওলা ইউনিয়নে ৩৯টি, কুড়ারবাজার ইউনিয়নে ৪৬টি, পৌরসভায় ৮৯টি, মাথিউরায় ৪৭টি, তিলপাড়ায় ৪৮টি, মুল্লাপুরে ২৯টি, মুড়িয়ায় ৪৯টি ও লাউতা ইউনিয়নে ৪৫টি মসজিদে ৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব জানান, চেক প্রস্তুতির কাজ চলছে। শীঘ্রই তা সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রেরণ করা হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন দেশের প্রতিটি জেলায় অবস্থিত সিটি করপোরেশন/পৌরসভা এলাকা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থিত সব মসজিদের জন্য ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছে সরকার। দুই লাখ ৪৪ হাজার ৪৩টি মসজিদকে পাঁচ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে।
বর্তমান বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মসজিদের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে পাঁচ হাজার টাকা হারে অনুদান প্রদানে অনুমোদন প্রদান করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে এ অনুদান ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা কার্যালয়ের পরিচালক/উপ-পরিচালকের ব্যাংক হিসেবে প্রেরণ করা হলো। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক/উপ-পরিচালকের সমন্বয়ে অনুদানের চেক বিতরণ করতে হবে। তালিকাভুক্ত মসজিদের অনুকূলে যথাযথ প্রাপ্তিস্বীকার গ্রহণপূর্বক অনুদানের অর্থ/চেক বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রাপ্তিস্বীকার পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
অনুমোদিত তালিকায় কোনো প্রকৃত মসজিদের তথ্য বাদ পড়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রত্যয়নসহ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য মহাপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বরাবর আবেদন করতে হবে।
জরুরি ভিত্তিতে অনুদানের অর্থ বিতরণ করে ১৫ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন প্রেরণ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।