বিয়ানীবাজারে খছরুজ্জামানের পাঁচ কন্যার সকলেই ডাক্তার
সাত্তার আজাদঃ
বিয়ানীবাজারের খছরুজ্জামান। শহরের পশ্চিম নয়াগ্রামে বাড়ি। রয়েল কমিউনিটি সেন্টারের মালিক। পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক তিনি। কোনো পুত্র সন্তান নেই, আফসোসও নেই। তিনি জানান, কন্যা ঘরের লক্ষী। লক্ষীর সাথে শিক্ষার যুগলবন্দি ঘটিয়ে পাঁচ কন্যাকেই ডাক্তার বানিয়েছেন। তার পরিবারে যুক্ত হয়েছেন আরো ৪ ডাক্তার। এ পর্যন্ত ৯ ডাক্তারের পরিবার খছরুজ্জামানের।
খছরুজ্জামানের পাঁচ কন্যা সন্তানের মধ্যে রাবেয়া ফেরদৌস এমবিবিএস পাস করে আল্টাসন ও ইকো’র উপর কোর্স করে আমেরিকার মিসিগান অঙ্গরাজ্যে আছেন। তার স্বামীও ডাক্তার। সুয়েদা ফেরদৌস এমবিবিএস পাস করে আল্টাসন ও ইকো’র উপর ট্রেনিং নিচ্ছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে। তার স্বামীও একজন ডাক্তার। নুরজাহান ফেরদৌস এমবিবিএস পাস করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ফার্মাকোলজী কোর্স করছেন। তার স্বামীও ডাক্তার। নাজিয়া ফাতেমা এমবিবিএস পাস করেছেন গত বছর। সম্প্রতি তারও বিয়ে হয়েছে একজন ডাক্তার ছেলের সাথে। খছরুজ্জামানের সবচেয়ে ছোট মেয়ে নাদিয়া ফেরদৌস সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে এসবিবিএস কোর্সে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। ক’দিন পর নাদিয়াও এমবিবিএস পাস করে ডাক্তার হবে।
নাদিয়া জানায়, কন্যা সন্তান সমাজের বোঝা নয়। ভাগ্যবান পিতারা কন্যা সন্তানের জনক হন। তবে কন্যাদের শিক্ষিত করে মানুষ করতে হয়।
খছরুজ্জামান বলেন- আমি ভাগ্যবান যে, আল্লাহর নিয়ামত আমার কন্যারা শিক্ষিত হয়েছে। মানুষের সেবা করার জন্য তারা নিজে থেকে ডাক্তারী কোর্সে লেখাপড়া করেছে। পাঁচ কন্যার সাথে এখন পর্যন্ত আমার চার ডাক্তার পুত্রও পেয়েছি। চার কন্যাকে বিয়ে দিয়েছি ডাক্তারদের কাছে। আমার কন্যারা মানুষের সেবা করবে- এটাই আমার গর্ব। এই পাঁচ ডাক্তার কন্যার মা জননী হলেন, সুলতানা পারভিন। তিনি কন্যাদের লেখাপড়ায় খুব শ্রম দিয়েছেন। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত নিজে পড়িয়েছেন। কন্যাদের ডাক্তার হবার পিছনে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশিÑ এমন দাবি খছরুজ্জামানের।